কয়েক মাস ধরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থেকে বিশ্বরোড পর্যন্ত ভাঙা সড়ক ও নিয়মিত যানজট নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রচারিত প্রকাশিত হলে সড়কটি পরিদর্শন করতে আজ বুধবার ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া যান সড়ক ও পরিবহন উপদেষ্টা।
বেহাল দশা দেখতে এসে নিজেই যানজটের ‘বিপদে’ পড়েন তিনি। বাধ্য হয়ে ব্র্যান্ডের দামি গাড়ি ছেড়ে মোটরসাইকেলে চড়েন তিনি।
সড়ক পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান সাংবাদিকদের জানান, ঊর্ধ্বতন ১২ জন কর্মকর্তাকে ঢাকায় অফিসে না বসে বিশ্বরোডের অস্থায়ী কার্যালয়ে দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে অবহেলা করলে বা অফিসে না পাওয়া গেলে তাদের সাসপেন্ড (বহিষ্কার) করা হবে।
ভাঙা সড়ক নয়, যানজটের জন্য ট্রাফিকব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেন, ‘এখানে ট্রাফিক বিভাগ কাজ করছে না। একদিকে গাড়ি চলছে, অন্যদিকে চলছে না।
কোথাও কোথাও অতিরিক্ত গাড়ি ঢুকে চার লেন হয়ে যাচ্ছে। এ বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলব।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে সেটা ট্রাফিক বিভাগের গাফিলতির কারণে। নইলে একদিকে গাড়ি চলত, আরেক দিকে বন্ধ থাকত না।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও ট্রাফিক বিভাগের ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে কথা বলে সমস্যার সমাধান করা হবে। বিশ্বরোড এলাকায় একটি ফ্লাইওভার করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের ডিজাইন প্রণয়নসহ সার্বিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘সবাই শুধু রাস্তা চায়। এভাবে রাস্তা হলে বাড়ি, শিল্প-কারখানা—এমনকি কবর দেওয়ার জায়গা থাকবে না।
এই সড়কে যেটা দেখলাম ট্রাফিকব্যবস্থা ঠিক থাকলে এত যানজট থাকত না। হয়তো আমার আধাঘণ্টা সময় বেশি লাগত।’
আইকে/টিকে