প্রথম আলোর সম্পাদকের বিরুদ্ধে আবরারের বাবার মামলা

প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের ছাত্র নাইমুল আবরার রাহাতের বাবা। মামলায় কিশোর আলোর আয়োজক কমিটিকেও আসামি করা হয়েছে।

অবহেলার অভিযোগ এনে বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন মজিবুর রহমান।

১ নভেম্বর ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের মাঠে প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বিদ্যুতায়িত হয়ে মারা যান রাহাত।  তিনি রেসিডেনসিয়ালের নবম শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।

রাহাতের মৃত্যুর জন্য শুরু থেকেই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের দোষারোপ করছেন শিক্ষার্থীরা। রাহাত নিহতের ঘটনায় বিচারের দাবিতে আন্দোলনও করছেন তারা।

এদিকে রাহাতের মৃত্যুর ঘটনাকে ‘হত্যাকাণ্ড’ উল্লেখ করে এর যথাযথ তদন্তের দাবি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক ছাত্রদের একটি সংগঠন। বুধবার ঢাকা রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের সামনে মানববন্ধন করে ওই দুর্ঘটনায় জড়িতদের শাস্তিও দাবি করেন তারা।

রেসিডেনসিয়াল মডেল কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠন ওল্ড রেমিয়ান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-ওর‌ওয়া আয়োজিত মানববন্ধনে কলেজের বর্তমান শিক্ষার্থীরাও অংশ নেন।

মানববন্ধনে ওরওয়ার সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান বলেন, 'রাহাতের মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তার মরদেহের ময়না তদন্ত না করা, তাড়াহুড়ো করে তার গ্রামের বাড়িতে লাশ পাঠিয়ে দেওয়া- সবই ছিল তড়িঘড়ির ব্যাপার। একটা রাখঢাকের ব্যাপার ছিল, মানুষ বুঝতে পারার আগে ব্যাপারটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'পরেরদিনও প্রথম আলোতে নিউজ আসল যে এটা নিছক দুর্ঘটনা। কিন্তু এটা মোটেও দুর্ঘটনা নয়, এটা খুন করা হয়েছে, এটা একটা হত্যাকাণ্ড। এই ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত। এই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়া উচিত। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।'

২ নভেম্বরে কলেজের একজন শিক্ষক বলেছিলেন, অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জেনারেটর দিয়ে বিদ্যুতের ব্যবস্থা করেছিলেন। কয়েকজন ছাত্র সেখানে গল্প করছিল। এর মধ্যে রাহাত কোনো কারণে জেনারেটরের ওপর পড়ে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃস্ট হয়। এ সময় সহপাঠীরা তাকে ছাড়াতে চেষ্টা চালায়। পরে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে তাকে উদ্ধার করা হয়। আয়োজকরা তাকে কাছের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতালটি ওই অনুষ্ঠান আয়োজনে অংশীদার ছিল বলে জানান তিনি।

রাহাতের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার ধন্যপুর গ্রামে। নাইমুল আবরার দুই ভাইয়ের মধ্যে ছোট। তার বাবা মজিবুর রহমান প্রবাসী। তবে তিনি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন।

 

টাইমস/এসআই

 

 

Share this news on: