চট্টগ্রামের একটি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত কনসার্টে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ লাঠিচার্জ ও গুলি ছোঁড়ে। এতে অন্তত দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় কয়েকজনকে। স্লোগানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় ছাত্রদল-যুবলদের নেতাকর্মীরা।
পুলিশের দাবি, স্লোগানের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কনসার্টে উশৃঙ্খল কিছু যুবক ও তরুণ ভাঙচুর চালায়।
শনিবার (১১ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহতদের মধ্যে একজনের নাম মো. শরিফ (২৩)। তিনি খুলসি থানার ডেবারপাড় এলাকার শফিকুর রহমানের ছেলে। আহত বাকিদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিক জানা যায়নি। শরিফ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কনসার্টে অংশ নেওয়া একজন বলেন, ‘মোটরসাইকেল ব্র্যান্ড হোন্ডার আয়োজিত কনসার্ট শুরুর পর ব্যান্ডদল আর্টসেল মঞ্চে ওঠে গান গাইতে শুরু করে। তারা দুটি গান পরিবেশনের পর আর গান গাইতে অপারগতা জানায়। এশার আজান হওয়ার কিছুক্ষণ আগে কনসার্টের সামনে থাকা কয়েকজন যুবক শেখ হাসিনা ও জয় বাংলা বলে স্লোগান দেন। এ সময় কনসার্টে উপস্থিত স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়।’
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) শ্রীমা চাকমা খুলশি থানার ওসির বরাত দিয়ে জানান, একটি অনুষ্ঠান ছিল জিইসি কনভেনশন হলে। ওই অনুষ্ঠানের একটি অংশ ছিল কনসার্ট। আয়োজকরা কনসার্টের অনুমতি নেননি। একপর্যায়ে সেখানে উশৃঙ্খল কিছু যুবক ও তরুণ ভাঙচুর চালায়। পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে লাঠিচার্জ করে এবং ৮ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোঁড়ে।
এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম আশেক জানিয়েছেন, জিইসি মোড় এলাকায় শরিফ নামে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে মেডিকেলে আনা হয়েছে। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রেরণ করেছেন।
এদিকে সংঘর্ষের পর জয় বাংলা স্লোগান দেওয়ার প্রতিবাদে জিইসি এলাকায় বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মীরা। তাদেরকে শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।