অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, গত ১২ বছরে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের শহীদ পরিবারের সদস্যরা কোনো সরকারি সহায়তা পাননি। দ্রুততম সময়ে অর্থবহ ও কার্যকর সহযোগিতা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করছি আমরা।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন উপদেষ্টা।
পোস্টে তিনি আরও লেখেন, হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর, স্থানীয় সরকার বিভাগ শহীদ পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন দ্রুততম সময়ে অর্থবহ ও কার্যকর সহযোগিতা পৌঁছে দিতে উদ্যোগ গ্রহণ করছি আমরা।
প্রসঙ্গত: ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে অবস্থান নিয়েছিল কওমি মাদরাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশ। সেসময় হেফাজতে ইসলামের আমির ছিলেন আল্লামা শাহ আহমেদ শফি। তার নেতৃত্বে কয়েকজন ব্লগারের ইসলাম ধর্মের বিরুদ্ধে কটূক্তি ও নারী নীতির বিরোধিতা করে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছিলেন তারা। এই দাবিতেই এই শাপলা চত্বরের কর্মসূচি দেয় সংগঠনটি। সেদিন দেশের কওমি ঘরানার কয়েক হাজার আলেম, ছাত্র ও সাধারণ মানুষ অংশ নেন।
শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম সারাদিন নানা ঘটনার পর রাতেও অবস্থান নেন তারা। পরে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি তাদের সরাতে অভিযানে নামে। রাত ৩টার দিকে চারদিক থেকে শুরু হওয়া মুহুর্মুহু গুলি, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেলে ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে। অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীও হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালান।
ওই রাতের অভিযানে হেফাজতের অনেক কর্মী হতাহত হন। হেফাজতের খসড়া রিপোর্টে শাপলা চত্বরে গুলিতে ৯৩ শহীদের নাম প্রকাশ পেয়েছে। তালিকায় নিহতদের নাম-পরিচয়, পরিবারের সদস্যদের নামসহ প্রকাশ করা হয়েছে। খসড়া রিপোর্ট যাচাই করে দেখা যায়, শহীদ হওয়া দুই তৃতীয়াংশই ছিলেন যুবক। হেফাজতে ইসলাম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউটি/টিকে