সম্মান রক্ষার মিশনে টাইগাররা, চোখ এখন পরের সিরিজে

আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ওয়ানডেতে হেরে সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। ফলে তাদের সামনে এখন সিরিজে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই লক্ষ্য। তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আজ (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ-আফগানিস্তান মুখোমুখি হবে। এই ম্যাচটা জিতেই দেশ ফিরতে চান রিশাদ হোসেন। একইসঙ্গে দেশের মাটিতে আসন্ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ নিয়েও ভাবতে শুরু করেছে টাইগাররা।

তৃতীয় ম্যাচের আগে আবুধাবিতে গণমাধ্যমকর্মীদের মুখোমুখি হয়েছেন রিশাদ। এই লেগস্পিন অলরাউন্ডার বলেন, ‘যেহেতু ২ ম্যাচ হেরেছি, আমাদের সবার প্ল্যান এখন শেষ ম্যাচ জিতে দেশে ফিরে পরের সিরিজে কীভাবে ভালো করা যায়। খারাপ দল ভালো দল না আসলে। আমরা সবাই ভুল করেছি। দল হিসেবে খারাপ সময় যাচ্ছে। দলের ভেতর আলোচনা হচ্ছে কীভাবে এটা নিয়ে কাজ করব। সবাই সবার দিক থেকে ১১০% দিচ্ছে। আশা করছি এখান থেকে তাড়াতাড়ি বের হয়ে আসব।’

বাংলাদেশের নিত্যসঙ্গী অধারাবাহিক ব্যাটিং–ই আফগান সিরিজেও আলোচনার কেন্দ্রে। বোলাররা প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ওপর ছড়ি ঘোরালেও, প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছেন না ব্যাটাররা। এ প্রসঙ্গে রিশাদ বলেন, ‘আসলে প্রতিপক্ষের বোলার কেমন করছে সেটা আমাদের (ভাবার ব্যাপার) না। সবাই একটু একটু ভুল করছি দল হিসেবে। চেষ্টা করছি ভুলটা কীভাবে রিকোভার করা যায়। আশা করছি তাড়াতাড়ি (ফিরব এই পরিস্থিতি কাটিয়ে)।’



সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেই ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার প্রভাব পড়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে রিশাদ জানান, ‘আসলে এটা নিয়ে সেরকম কিছু বলার নেই। একটা নিউ জার্নিতে যাচ্ছি। এই সময়ে একটু সবার সাপোর্ট বা বিশ্বাস থাকলে বেটার কিছু করব ইনশাআল্লাহ।’

প্রসঙ্গত, তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে আফগানদের হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশ প্রথম ওয়ানডেতে মাত্র ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায়। ৫ উইকেটে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ ছিল। বোলারদের নৈপুণ্যে মাত্র ১৯০ রানে থামে আফগানদের দৌড়। কিন্তু চূড়ান্ত অবনতি ঘটে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের। মাত্র ১০৯ রানে গুটিয়ে নিশ্চিত করে সিরিজ হার। অথচ সিরিজটি র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

এবি/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ট্রাম্প শান্তির দূত, ফের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করব: শেহবাজ শরিফ Oct 14, 2025
img
বিকেলে জাপানের মুখোমুখি হচ্ছে ব্রাজিল Oct 14, 2025
img
তেহরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তি করতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন Oct 14, 2025
img
মিরপুরে ২ কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ৬ ইউনিট Oct 14, 2025
img
শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের যুক্তিতর্ক চলছে Oct 14, 2025
img
কোনো কিছুই ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণে নেই : কর্নেল অলি Oct 14, 2025
img
স্বর্ণখনি ধসে ভেনিজুয়েলায় ১৪ জন নিহত Oct 14, 2025
img
সিরাজগঞ্জে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় জামায়াত নেতাসহ নিহত ৪ Oct 14, 2025
img
শিক্ষকদের ফোন করে এখনই লং মার্চ না করার আহ্বান হাসনাতের Oct 14, 2025
img
ভারত সফরের আগে বিপাকে অজিরা Oct 14, 2025
img
শিক্ষকদের দুপুরে 'মার্চ টু সচিবালয়' কর্মসূচি Oct 14, 2025
img
ব্রাজিলের হয়ে বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়তে চান আনচেলত্তি Oct 14, 2025
img
আমি মনে হয় স্বর্গে যেতে পারব না: ট্রাম্প Oct 14, 2025
img
দেশ কোথায় যাচ্ছে : ব্যারিস্টার শামীম হায়দার Oct 14, 2025
img
প্রতিটি জেলায় আলাদা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত গঠনের নির্দেশ Oct 14, 2025
img
লড়াই করে হারল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সিরিজ জিতে যত কীর্তি ভারতের Oct 14, 2025
img
তৃতীয় বিয়ে নিয়ে সমালোচনার পরে মুখ খুললেন তনির স্বামী Oct 14, 2025
img
বিএনপির এই রাজনীতিটা অত্যন্ত ইতিবাচক : জিল্লুর রহমান Oct 14, 2025
img
দুই ঘণ্টায় ডিএসইতে অধিকাংশ শেয়ারে দরবৃদ্ধি Oct 14, 2025
img

সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা

কুয়েতের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে বাংলাদেশি দূতের সাক্ষাৎ Oct 14, 2025