এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় ধাপ চলছে। এই স্তরে ২৪ দল ছয়টি গ্রুপে খেলছে। ছয় গ্রুপের ছয় চ্যাম্পিয়ন আগামী বছর সৌদি আরবে মূল পর্বে খেলবে। বাংলাদেশ পড়েছে সি গ্রুপে ভারত, সিঙ্গাপুর ও হংকংয়ের বিপক্ষে।
আজ চার দলেরই চারটি করে ম্যাচ হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও হংকং দুই দলের সমান ৮ পয়েন্ট। বাংলাদেশ ও ভারতের পয়েন্ট সমান দুই। আজ ভারত গৌহাটিতে ১-২ গোলে সিঙ্গাপুরের কাছে হেরেছে। এতে সি গ্রুপ থেকে বাংলাদেশ ও ভারত উভয় দল এশিয়া কাপ খেলার দৌড় থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ছিটকে গেছে। বাংলাদেশ ও ভারত দুই দলের কেউ শেষ দুই ম্যাচ জিতলে ৮ পয়েন্ট হলেও ১৮ নভেম্বর সিঙ্গাপুর-হংকং ম্যাচের ফলাফল যাই হোক এক দলের পয়েন্ট ৮ এর বেশি থাকবে। ফলে বাংলাদেশ ও ভারত কারো গ্রুপ সেরা হওয়ার সুযোগ নেই।
বাংলাদেশ ও ভারত এশিয়ান কাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। তবে সিঙ্গাপুর-হংকংয়ের গলার কাটা হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ সিঙ্গাপুর-হংকং ম্যাচ ড্র হলে দুই দলের পয়েন্ট ১৮ নভেম্বর দাড়াবে ৯। তখন ৩০ মার্চ বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরকে হারালে বা ড্র করলে ভারতকে হারিয়ে হংকং জিতলে তারা এশিয়া কাপে খেলবে। তদ্রুপ বিপরীত ঘটনাও হতে পারে ভারত হংকংকে রুখে দিলে সিঙ্গাপুর বাংলাদেশকে হারালে, তখন সিঙ্গাপুর খেলবে এশিয়া কাপ।
১৮ নভেম্বর হংকং-সিঙ্গাপুর ম্যাচ এই গ্রুপের অঘোষিত ফাইনাল। কারণ ঐ ম্যাচে যে দল জয়ী হবে সেই দলই এই গ্রুপ থেকে এশিয়া কাপে খেলবে। যে দল জয়ী হবে তাদের পয়েন্ট হবে ১১। শেষ ম্যাচে সেই দল হারলে এবং তাদের পেছন ছুটতে থাকা দল শেষ ম্যাচ জিতলে তখন দুই দলেরই সমান ১১ পয়েন্ট হবে। সিঙ্গাপুর-হংকং দুই দলের মধ্যকার ২৫ মার্চের ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। ফলে ১৮ নভেম্বর ম্যাচে জয়ী দল হেড টু হেডে এগিয়ে থাকায় এশিয়া কাপের মূল পর্বে খেলবে।
এশিয়া কাপের দৌড়ে টিকে থাকতে আজ বাংলাদেশের জয় প্রয়োজন ছিল। ড্র করেও খানিকটা মৃদু আশা ছিল। যদি ভারত সিঙ্গাপুরকে হারাতে পারত, তখন সিঙ্গাপুর ও ভারত দুই দলের সমান পয়েন্ট থাকত। বাংলাদেশ শেষ দুই ম্যাচে জিতলে এবং সিঙ্গাপুর হংকংকে হারালে তখন চার দলেরই সমান ৮ পয়েন্ট হতো। সেক্ষেত্রে গোল ব্যবধান হেড টু হেডের জটিল হিসেবে সম্ভাবনা তৈরি হতো।
বাংলাদেশের মৃদু আশা জাগিয়ে তুলেছিল ভারত। ১৪ মিনিটে লিড নিয়েছিল স্বাগতিক দল। ৪৪ মিনিটে সমতা আনে সফরকারী সিঙ্গাপুর। এরপর ৫৮ মিনিটে আরেক গোল করলে আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ভারত। রেফারির শেষ বাঁশির সঙ্গে ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলার স্বপ্ন-সম্ভাবনা দু’টোই শেষ হয়।
এশিয়া কাপ ২৪ দলের। এশিয়ান অঞ্চলে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে পরবর্তী ধাপে খেলা ১৮ দল সরাসরি এশিয়া কাপে উঠেছে। বাকি ছয়টি স্থানের জন্য ২৪ দল লড়ছে।
এসএস/এসএন