আগের ম্যাচে কোনোরকম ১০৯ করতে পেরেছিল। আর শেষ ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ে দৈন্যদশা হলো আরও প্রকট। এক সাইফ হাসান ছাড়া একাদশের কেউই দুই অঙ্কের ঘরে প্রবেশ করতে পারেনি।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) আবুধাবিতে ২৯৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ২৭.১ ওভারে সব কটি উইকেট হারিয়ে মাত্র ৯৩ রানে থামল মিরাজরা।তাতে তিন ম্যাচ সিরিজের সব ম্যাচ হেরে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবল লাল সবুজরা।
ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে কোনো সিরিজে সম্ভবত এতটা বাজে সময় কাটায়নি বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কাছে শুধু হোয়াইটওয়াশ-ই হলো না, পরপর দুই ম্যাচে বাজে ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় দৃষ্টান্ত তৈরি করলো। এক রশিদ খানের আতঙ্ক তো ছিলই। ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা বিলাল সামিকেও মোকাবিলা করতে অক্ষমতা পরিচয় দিলো মিরাজের দল।
আগের ম্যাচে মাত্র ১৯০ রান তাড়া করতে না পারা বাংলাদেশের সামনে এদিন লক্ষ্যটা ছিল ২৯৪ রানের। আগের দিন কোনোরকম শতরান করলেও এদিন সেটাও করতে পারেনি মিরাজের দল। ওপেনার সাইফ হাসান ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। তৃতীয় ওয়ানডেতে সুযোগ পাওয়া মোহাম্মদ নাঈম ২৪ বল খেলে মাত্র ৭ রান করে আউট হয়েছেন। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৬ বলে ৩ রান করে আউট হয়েছেন। তিন ম্যাচ খেলে মাত্র ১২ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। ১২ বলে ৭ রান করে রশিদের বলে বোল্ড হয়েছেন তাওহীদ হৃদয়।
এরপর তার পিছে পিছয়ে সাজঘরের পথ ধরেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ (৬), শামীম হোসেন (০), নুরুল হাসান সোহান (৪)। রশিদের ঘূর্ণিতে পরাস্ত হয়ে ক্রিজে স্থায়ী হতে পারেননি সাইফও। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে বোল্ড হয়েছেন তিনি। ৫৪ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৪৩ রানে থেমেছে তার ইনিংস। ৭৪ রানের মধ্যে জাত ব্যাটাররা সবাই সাজঘরে ফেরার পর টেলএন্ডাররা স্কোরটাকে নিয়ে গেছেন ৯৩ রান পর্যন্ত।
আফগানিস্তানের হয়ে ৩৩ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন বিলাল সামি। মাত্র ১২ রান খরচায় ৩ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। আগের ম্যাচে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১১ উইকেট নিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন এলিট ক্লাবে।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৯৩ রান সংগ্রহ করেছিল আফগানিস্তান। ১১১ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন ইব্রাহিম জাদরান। ৩৭ বলে ৫ ছক্কা ও ৪ চারের মারে ৬২ রানের অপরাজিত ঝড়ো ইনিংস খেলেন মোহাম্মদ নবি। এছাড়া ৪৪ বলে ৪২ রান করেছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। বাংলাদেশের পক্ষে ৬ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন সাইফ। এছাড়া ২টি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ ও তানভীর ইসলাম।
বাংলাদেশের বিপক্ষে এখন পর্যন্ত ২২ ওয়ানডে খেলে রানের হিসেবে সবচেয়ে বড় জয়টা আজকের ম্যাচে পেয়েছে আফগানিস্তান। নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে ২০০ রানের ব্যবধানে জয়টা তাদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গত বছর ২৩২ রানের ব্যবধানে জয়টা তাদের রানের হিসেবে সর্বোচ্চ জয়।
এদিকে সবশেষ তিন ওয়ানডে সিরিজেই বাংলাদেশকে হারালো আফগানিস্তান। আগের দুই সিরিজে অবশ্য একটি করে ম্যাচ জিতে হোয়াইওয়াশ এড়িয়েছিল লাল সবুজরা।
এমআর