তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ১২তম আসর আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টুর্নামেন্ট সামনে রেখে ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে নানা প্রস্তুতি।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠক শেষে সহসভাপতি ও মার্কেটিং কমিটির চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন জানান, আগামী ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট।
আগামী আসরে পাঁচ থেকে ছয়টি দল অংশ নেবে বলে জানিয়েছে বিসিবি। খুব শিগগিরই ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিষ্ঠানগুলোও চূড়ান্ত করা হবে। এবার প্রথমবারের মতো ভেন্যু বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। রাজশাহী ও বরিশালের দুটি স্টেডিয়াম ইতোমধ্যে পরিদর্শন করেছে বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ বিভাগ। সবকিছু ঠিক থাকলে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটের পাশাপাশি নতুন ভেন্যুতেও খেলা হতে পারে।
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য রয়েছে সুখবরও। বিসিবি এবার প্রথমবারের মতো লভ্যাংশ ভাগাভাগির নীতি চালু করছে। টেলিভিশন স্বত্বসহ টুর্নামেন্টের মোট লাভের ৩০ শতাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। এছাড়া, মাঠের প্যারিমিটার বোর্ডে প্রতিটি ম্যাচে ৩০ মিনিটের বিজ্ঞাপন সময় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর জন্য বরাদ্দ থাকবে, যেখানে তারা নিজেদের প্রচারণা চালাতে পারবে।
আসন্ন আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি টাকা। আগামী পাঁচ মৌসুমের জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজি দেওয়া হলেও প্রতি বছর ফি ১৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। তবে দল পেতে প্রতিটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ১০ কোটি টাকার ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দিতে হবে, যা ছয় মাস পর্যন্ত বোর্ডের কাছে থাকবে।
চ্যাম্পিয়ন দলের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার—বিজয়ী দল পাবে পৌনে ৩ কোটি টাকা, আর রানার্সআপ দল পাবে পৌনে ২ কোটি টাকা। এছাড়া, খেলোয়াড়দের অনুপ্রেরণা বাড়াতে থাকছে নানা ব্যক্তিগত পুরস্কারও।
নতুন এই উদ্যোগ ও নিয়মে বিপিএলের ১২তম আসরকে আরও প্রতিযোগিতাপূর্ণ ও আকর্ষণীয় করতে চায় বিসিবি।
ইএ/এসএন