ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। কেউ খেলাধুলায় ব্যস্ত, কেউ মিষ্টি রোদে বসে আড্ডায়, আবার কেউ নির্বাচনী ভোট নিয়ে করছেন শেষ মুহূর্তের আলোচনা। সব মিলিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে রাকসু নির্বাচনের প্রচারণা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। এর আগের দিন, অর্থাৎ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরের আমতলায় ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠেন একদল শিক্ষার্থী।
তারা দুটি দলে ভাগ হয়ে সার্কেল ক্রিকেট খেলছিলেন। খেলায় অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ধাপে ২০ দিন ধরে প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। এই দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণার পর একদিনের বিরতিতে ক্রিকেট খেলে সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল কাইয়ুম বলেন, আগামীকাল নির্বাচন। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আজকে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ, তাই অলস সময় না কাটিয়ে আমরা খেলাধুলা করছি। রুমে থাকলে শুধু সময় নষ্ট হতো, তাই সবাই মিলে গ্যালারির পাশে ক্রিকেট খেলছি।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহীদ রহমান বলেন, ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচন ঘিরে সবাই উদ্দীপ্ত। আমরা আশা করছি, এটি সুষ্ঠু হবে এবং এর মাধ্যমে ভালো নেতৃত্ব উঠে আসবে। ক্লাস বন্ধ থাকায় রুমে না থেকে আমরা মাঠে নেমেছি খেলতে। অনেক আনন্দ করছি, সবাইকে একসঙ্গে পাচ্ছি এই নির্বাচন আমাদের মধ্যে একটি মিলনমেলা তৈরি করেছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টায় প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কেন্দ্রে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত প্যানেলসহ মোট ১১টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৮ জন, আর ১৭টি হলে হল সংসদের ১৫টি পদের বিপরীতে প্রার্থী সংখ্যা ৫৯৭ জন। রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। তফসিল অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ হবে ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলসহ সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রক্টরিয়াল বোর্ডের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। তবে আমরা নিজেরাও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। নির্বাচনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে মেতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা। কেউ খেলাধুলায় ব্যস্ত, কেউ মিষ্টি রোদে বসে আড্ডায়, আবার কেউ নির্বাচনী ভোট নিয়ে করছেন শেষ মুহূর্তের আলোচনা। সব মিলিয়ে পুরো ক্যাম্পাসে বিরাজ করছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) রাত ১২টায় শেষ হয়েছে রাকসু নির্বাচনের প্রচারণা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। এর আগের দিন, অর্থাৎ বুধবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরের আমতলায় ক্রিকেট খেলায় মেতে ওঠেন একদল শিক্ষার্থী।
তারা দুটি দলে ভাগ হয়ে সার্কেল ক্রিকেট খেলছিলেন। খেলায় অংশ নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, রাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দুই ধাপে ২০ দিন ধরে প্রচারণা চালিয়েছেন প্রার্থীরা। এই দীর্ঘ প্রচার-প্রচারণার পর একদিনের বিরতিতে ক্রিকেট খেলে সময় কাটাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী আবদুল কাইয়ুম বলেন, আগামীকাল নির্বাচন। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। আজকে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ, তাই অলস সময় না কাটিয়ে আমরা খেলাধুলা করছি। রুমে থাকলে শুধু সময় নষ্ট হতো, তাই সবাই মিলে গ্যালারির পাশে ক্রিকেট খেলছি।
একই বিভাগের শিক্ষার্থী তাওহীদ রহমান বলেন, ৩৫ বছর পর রাকসু নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচন ঘিরে সবাই উদ্দীপ্ত। আমরা আশা করছি, এটি সুষ্ঠু হবে এবং এর মাধ্যমে ভালো নেতৃত্ব উঠে আসবে। ক্লাস বন্ধ থাকায় রুমে না থেকে আমরা মাঠে নেমেছি খেলতে। অনেক আনন্দ করছি, সবাইকে একসঙ্গে পাচ্ছি এই নির্বাচন আমাদের মধ্যে একটি মিলনমেলা তৈরি করেছে। জানা গেছে, মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১২টায় প্রার্থীদের প্রচারণা শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটগ্রহণের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কেন্দ্রে বুথ স্থাপন করা হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এবারের নির্বাচনে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত প্যানেলসহ মোট ১১টি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫৮ জন, আর ১৭টি হলে হল সংসদের ১৫টি পদের বিপরীতে প্রার্থী সংখ্যা ৫৯৭ জন। রাকসু ও সিনেট নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং পুরুষ ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। তফসিল অনুযায়ী, ভোটগ্রহণ হবে ১৬ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ভোট গণনা শেষে সেদিনই ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
রাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক এফ. নজরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে যানবাহন চলাচলসহ সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রক্টরিয়াল বোর্ডের ওপর অর্পণ করা হয়েছে। তবে আমরা নিজেরাও সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। নির্বাচনের প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
ইউটি/টিএ