সংস্কারের দাবিতে কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। এতে কয়েক কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় বাসচালক ও ট্রাকচালকরাও সংহতি জানিয়ে অবরোধ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বুধবার (১৫ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আগ্রাসনবিরোধী শিক্ষার্থী জোটের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষার্থীরা কাঠের গুঁড়ি, মইসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলে রাস্তা অবরোধ করেছেন। শিক্ষার্থীদের মহাসড়কে ক্রিকেট খেলতেও দেখা যায়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা প্রশাসক এক সপ্তাহের মধ্যে সড়ক সংস্কারের আশ্বাস দিলে সড়ক ছাড়েন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের বড় অংশ এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঝুঁকি নিয়ে এই রাস্তায় চলাচল করছে। এর আগে কয়েক দফায় আমরা মিটিং মিটিং খেলা খেলেছি। আর নয়, এবার আমরা দুই জেলার প্রশাসনকে বাধ্য করে আমাদের যৌক্তিক দাবি আদায় করে নিতে চাই। দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা চাচ্ছি কোনো রকম তালবাহানা না করে দ্রুত এই সড়ক সংস্কার করা হোক। আমরা কোনোরূপ ভোগান্তি মেনে নেব না।
এদিকে সড়ক অবরোধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন দূর-দূরান্তের গাড়ি ও যাত্রীরা।
গাড়ি চালকরা বলেন, এ রকম হুটহাট রাস্তা আটকে দেওয়ায় দূর-দূরান্তের গাড়ি ও যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমরাও শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একমত। আমরাও চাই এই সড়ক সংস্কার করা হোক।
জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ পর্যন্ত উভয় সড়কের অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ সড়কে চলাচলকারী যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়েন। সম্প্রতি এই সড়কে কয়েকজন শিক্ষার্থীর প্রাণ গেছে। এমনকি এখনো বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন বাস ড্রাইভার সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আছেন। এর আগে একাধিকবার দাবি জানালেও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি প্রশাসন।
সাবেক সমন্বয়ক এসএম সুইট বলেন, আমাদের দাবি ছিলো সাত দিনের মধ্যে রাস্তা সংস্কার করা। সেটি ডিসি মেনে নিয়েছেন তারই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ব্লকেড প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তবে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বাস্তবায়ন না হলে আবার আমরা মাঠে নামবো।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন ফোন কলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বলেন, আমরা আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সড়কের সংস্কারের কাজ শুরু করব। এ ছাড়াও সড়ক সংস্কারে টেন্ডার আগামী ২২ তারিখে পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
কেএন/টিএ