ক্ষমতায় গেলে দেশের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাকে জাতীয়করণ করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই সঙ্গে নির্বাচিত হলে ১৫ মাসে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের দানারহাট ঈদগাহ মাঠে নিজের নির্বাচনী আসনের জনগণের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ প্রতিশ্রুতি দেন।
কৃষকদের দাবি ও সার সংকট নিয়ে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, কৃষকদের সারের দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে ডিসি অফিস ঘেরাও করা হবে।
তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দেশে আমলাতন্ত্র চলবে না।
রাজনৈতিক সংকট ও সরকারের সমালোচনা প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৫ বছরে বিএনপিকে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেয়নি। শেখ হাসিনার সরকার কেয়ারটেকার সরকার বাতিল করেছে এই ভয়ে যে কেয়ারটেকার সরকার রাখলে তারা জিততে পারবে না।
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করে বলেন, ‘হাসিনা গুলি করে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছে।
আওয়ামী লীগের আমলে ৩টি নির্বাচন হয়েছে, ভোট ছাড়াই ক্ষমতায় গেছে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘আমরা ১৫ বছর ধরে একটি জিনিসের জন্য লড়াই করেছি, সেটা হলো ভোটাধিকার।’
পিআরের দাবিতে অন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর কড়া সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, জনগণ নির্বাচন চায়, ভোট দিতে চায়, জনপ্রতিনিধি চায়। আগামী নির্বাচনের পর পার্লামেন্টে সিদ্ধান্ত হবে, পিআর হবে কি হবে না।
পার্লামেন্টে গিয়ে পিআর নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হবে। পিআর এর দাবি বাদ দিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দেশ গড়ার আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হওয়ার সুযোগ পাবে। অতীতে বিএনপির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড স্মরণ করিয়ে দিয়ে উপস্থিত জনগণকে নির্বাচনে পাশে থাকার আহ্বান জানান। আগামী নির্বাচনে ভোট চেয়ে সাথে থাকার জন্য উপস্থিত জনগণের প্রতি অনুরোধ জানান।
নির্বাচনে জয়ী হলে আলোচনার মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট সমাধান করার আশ্বাস দেন।
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির জেলা সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, সদর উপজেলা সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব হোসেন তুহিনসহ দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীরা।
আইকে/এসএন