আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন প্রক্রিয়ায় হবে তা নির্ধারণের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বসতে চাইলে বসা হবে।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা নির্বাচনের কথা বলেছি। যে সুর আজকে আমরা এখানে বাজালাম। সেই সুর নিয়ে আমরা নির্বাচনের দিকে যাব। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং এই ঐক্য যেন বজায় থাকে। আজকে ঐকমত্যে আমরা যে সনদ করলাম, নির্বাচনের ব্যাপারেও রাজনৈতিক দলের নেতারা বসে একটা সনদ করেন, কিভাবে নির্বাচন করবেন।
তিনি আরো বলেন, যেমন-তেমন করে নির্বাচন করলে তো আবার পুরনো জায়গায় ফিরে যাওয়া-এত কিছু করে লাভ কী হলো! এ কথা লিখে আমার লাভ কী হলো? কথা লিখলাম, কথা মানলাম না। কাজের মধ্যে দিয়ে মানলাম না। কাজেই আমার অনুরোধ আপনারা আবার ঐকমত্য কমিশন বলেন, কমিটি বলেন নিজেরা বসুন। নির্বাচনটা কিভাবে সুন্দরভাবে করবেন? উৎসবমুখর করে করবেন। ইতিহাসে স্মরণীয় করে ধরবেন।
এ বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সালাহউদ্দিন বলেন, সাংবিধানের ৬৫ (২) অনুচ্ছেদে বলা আছে বাংলাদেশের প্রত্যেক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকার মধ্যে সরাসরি প্রত্যক্ষ ভোটের মাধ্যমে ৩০০ জন জাতীয় সংসদ সদস্য নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠিত হবে। ৬৫ (৩) অনুচ্ছেদে আছে যারা নারী সদস্য থাকবে। কিন্তু এখন কেউ কেউ সেটা বর্ণনা করছে যে, নির্বাচন কমিশন শুধু নির্বাচন করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত-অন্য কিছু না। এটা সত্য! নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন পরিচালনা করবে কিন্তু কীভাবে করবে সেটা বর্ণিত আছে।
সুতরাং জাতিকে বিভ্রান্ত করার কোনো সুযোগ নাই। এর পরেও প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে বসতে চাইলে বসা হবে বলে জানান তিনি।
টিজে/টিএ