প্রথমবারের মত বাংলাদেশের ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এর আগে টেস্ট অভিষেক স্বাদ পেলেও রঙিন পোশাকে সাদা বলে বাংলাদেশের হয়ে আগে কখনও খেলা হয়নি অঙ্কনের। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ওয়ানডে অভিষেকের সুযোগ তার সামনে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্যাট হাতে লম্বা সময় ধরেই আলো ছড়াচ্ছেন মাহিদুল অঙ্কন। ডিপিএল, বিপিএলের পাশাপাশি ‘এ’ দলের সিরিজেও ব্যাট হাতে অনেক বারই উজ্জ্বল ছিলেন অঙ্কন। বাংলাদেশ দলের ভঙ্গুর মিডল অর্ডারে তাই নির্বাচকরা আস্থা রেখেছেন অঙ্কনের উপর।
প্রধান কোচ ফিল সিমন্সও অঙ্কনের উপর আস্থা রাখছেন। সামনের দিনে বাংলাদেশের হয়ে ভালো খেলার সামর্থ্যও অঙ্কনের মাঝে দেখছেন ফিল সিমন্স। প্রথম ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে সিমন্স বলেছেন, ‘আসলে আমার মনে হয় না আমাদের কিছু ঘাটতি রয়েছে। অনেক প্লেয়ার আছে যারা সেটেল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেভাবে ভালো খেলতে পারে না। তরুণদের অনেকে এমন। তবে পরিণতিবোধ চলে আসলে পারফর্ম করতে পারবে। আমাদের এখানে খেয়াল রাখতে হবে এবং দ্রুত তাকে (অঙ্কনকে) পরিণত করতে হবে এবং আমরা সবাই নিশ্চিত সে আসলে এমন একজন যে বাংলাদেশের প্লেয়ার হওয়ার সামর্থ্য রাখে।’
জাতীয় দলে কোন ভূমিকায় দেখা যাবে অঙ্কনকে? মিডল অর্ডারে নাকি ফিনিশিংয়ে? জবাবে সিমন্স বললেন, ‘এখনও ঠিক করিনি। সন্ধ্যার পর ঠিক করা হবে।’ এছাড়া ব্যাট হাতে টাইগারদের দৈন্যদশার বিষয়টি বেশ ভালো করেই মাথাতে আছে ফিল সিমন্সের। প্রধান কোচ বলেছেন, ‘আগের সিরিজ খারাপ গেছে আমাদের। তবে চেষ্টা করছি সেখান থেকে ফিরে এসে সামনে ভালো করতে। আগে যা হয়েছে তা অতীত। কালকে যেন ভালো করতে পারি সেখানেই সব মনযোগ। শ্রীলঙ্কাতে আমরা ভালোই করেছিলাম, (আফগানিস্তান সিরিজে) মেন্টালি একটু পিছিয়ে ছিলাম।’
আফগান সিরিজে রশিদ খানকে খেলতে গিয়ে চোখের পানি আর নাকের পানি এক হয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটারদের। এবার রশিদের না থাকা কি কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে? জবাবে সিমন্স বললেন, ‘হ্যাঁ (রশিদের না থাকা) স্বস্তির কিছুটা, তবে তাদের দলেও শীর্ষ কিছু স্পিনার আছে। তাদেরকেও সামলাতে হবে আমাদের।’
মাঝের দিকে ধীর ব্যাটিংয়ের কারণ জানাতে গিয়ে প্রধান কোচ বলেন, ‘কারণ হচ্ছে শুরুটা (ভালো হয়নি)। মাঝে (তাওহিদ) হৃদয়-(মেহেদীও হাসান) মিরাজ জুটি গড়ে আমাদের ইনিংস মেরামত করতে হয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেভাবে ব্যাট করতে হয়েছে। আশা করি ভিন্ন পরিস্থিতিতে ভিন্নভাবে ব্যাটিং করবে।’ সিমন্স আরও বলেছেন, ‘আগে শ্রীলঙ্কার সাথে সিরিজ খেলেছি আমরা। (ওয়ানিন্দু) হাসারাঙ্গাকে মোকাবেলা করেছি, তাদের এশিয়া কাপেও হারিয়েছি। কেবল সর্বশেষ সিরিজটাতেই রশিদের বিপক্ষে আমরা খারাপ খেলেছি।’
স্পোর্টিং চান নাকি স্পিনিং? মিরপুরে কেমন উইকেট চান কোচ? সিমন্স বললেন, ‘(হাসি) আপনি মিরপুরকে আমার চেয়ে অনেক ভালোভাবে চেনেন। ফলে আপনিই বলতে পারবেন ব্যাপারটা। উইকেট দেখেছি, দেখে মনে হয়েছে স্বাভাবিক মিরপুরের উইকেটের মতই। যেখানে কিছুটা টার্ন আছে, ব্যাপারটা ভালো।’
ফিল সিমন্সের মতে, ‘আসলে ম্যাচ জেতার মত সংগ্রহ করার মত রসদ আমাদের কাছে আছে। ক্যারিবিয়ানে তা আমরা করে দেখিয়েছিলাম। ২৯০-৩০০ রান করেছি। ফলে প্লেয়ারদের ভূমিকাটা বুঝিয়ে দিতে হবে। মাইন্ডসেট ঠিক রাখতে হবে যে কীভাবে ৩০০ পর্যন্ত যেতে হবে। সেখানেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
এসএস/এসএন