স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে, বছরদেড়েক আগে এমনটা নিজেই জানিয়েছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। সেই ঘোষণার পর স্বামীর সঙ্গে তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যায়নি।
এদিকে কয়েক মাস ধরে মাহি রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে,আর স্বামী রাকিব কোথায় আছেন, তা কেউ জানেন না। কিছুদিন আগে হঠাৎ করেই নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ও পেজে স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে দুটি স্থিরচিত্র পোস্ট করেন মাহি।
ভালোবাসার ইমোজি দিয়ে সেই ছবির ক্যাপশনে মাহি লিখেছেন, ‘মাশাআল্লাহ।’ দেড় বছর পর এসে মাহি বলছেন, তার ডিভোর্স হয়নি।
তাহলে বিচ্ছেদের ঘোষণা কেন দিয়েছিলেন, এমন প্রশ্নে গণমাধ্যমকে মাহিয়া মাহি বলেন, ‘আমি রাগের মাথায় ডিভোর্সের কথা বলেছিলাম। আসলে আমাদের ডিভোর্স হয়নি, নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে।’
সোশ্যালে স্বামীর সঙ্গে শেয়ার করা ছবিটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘ছবিটি আমরা ভারতে তুলেছিলাম, তখন প্রকাশ করা হয়নি। এখন উইকিপিডিয়ায় দেখা যাচ্ছে আমাদের ডিভোর্স হয়েছে, তাই ভুল-বোঝাবুঝি দূর করতে ছবিটি পোস্ট করেছি। আমাদের পাসপোর্টেও লেখা আছে ‘ম্যারিড’, স্বামীর নাম রাকিব সরকার। আমরা ভালো আছি।’
এর আগে গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বামী রাকিবের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদ হয়ে গেছে বলে জানিয়ে মাহি বলেছিলেন, ‘আমরা দুজনই চেষ্টা করেছি। যখন দেখেছি চেষ্টা করেও লাভ হচ্ছে না, তখন আসলে চেষ্টাটা ছেড়ে দিয়েছি। একসঙ্গে থেকে তিক্ত হওয়ার চেয়ে বন্ধুত্বটা থাকা ভালো। যেহেতু ও ফারিশের বাবা এবং এখনো ওর সঙ্গে আমার কথা হয় নিয়মিত, যোগাযোগ আছে। ফারিশকে নিয়ে কথা হয়, ফারিশের কী প্রয়োজন এবং ও খুব যত্নবান একজন মানুষ।
ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক নেই, কিন্তু ও ফারিশের ব্যাপারে এতটা কেয়ারিং, আমার মনে হয় পৃথিবীতে এমন বাবা পাওয়াটা খুব টাফ।’
এদিকে দেড় বছরের ব্যবধানে ডিভোর্স নিয়ে মাহিয়া মাহির দুই ধরনের বক্তব্যে ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের পাশাপাশি বিনোদন অঙ্গনে তাঁর ঘনিষ্ঠজনেরা ধাঁধায় পড়েছেন। কোনো হিসাবে মেলাতে পারছেন না কেউই।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে বিয়ে করেছিলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অপুর সঙ্গে মাহির সেই সংসার টিকেছিল পাঁচ বছর। অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ২০২১ সালে রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন অভিনেত্রী। দেড় বছর আগে ঘোষণা দেন রাকিবের সঙ্গেও তার বিচ্ছেদ হয়েছে।
এমআর/টিকে