মগবাজারে ১০ কাঠা জায়গাজুড়ে হবে আইয়ুব বাচ্চু মিউজিয়াম

এই রূপালি গিটার ফেলে, একদিন চলে যাবো দূরে বহুদূরে…...গানটি শুনলেই আজো চোখ ভিজে আসে লাখো ভক্তের। যে কণ্ঠ এক সময় ছিল প্রাণের স্পন্দন, যে গিটার বাজলেই কেঁপে উঠত কনসার্ট মঞ্চ, সেই কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু আজ আমাদের মাঝে নেই। শনিবার (১৭ অক্টোবর) ছিল তার সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী।

এই কিংবদন্তি সংগীত শিল্পীর স্মৃতিকে অমর করে রাখতে রাজধানীর মগবাজারে নির্মিত হতে যাচ্ছে আইয়ুব বাচ্চু মিউজিয়াম। এর নাম হবে ‘আইয়ুব বাচ্চু মিউজিয়াম অ্যান্ড কালচারাল হাব’। ১০ কাঠা জায়গাজুড়ে গড়ে ওঠা এই মিউজিয়ামে সংরক্ষিত থাকবে তার জীবন, সংগীত ও শিল্পভুবনের অজস্র স্মৃতি।

আইয়ুব বাচ্চু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে চলছে। এই তথ্য জানিয়েছেন ফাউন্ডেশনের সভাপতি আইয়ুব বাচ্চুর স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার। তিনি এও দাবি করেছেন, এই মিউজিয়ামের জন্য পৃষ্ঠপোষকতাও দরকার।

ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি ও প্রয়াত শিল্পীর দীর্ঘদিনের সহযাত্রী আবদুল্লাহ আল মাসুদ জানিয়েছেন, ‌মিউজিয়ামে শুধু গিটার নয়, থাকবে তার ব্যবহৃত টি-শার্ট, হ্যাট, ক্যাপ, রোদচশমা। এবি কিচেনের আদলে তৈরি একটি রেকর্ডিং স্টুডিও থাকবে সেখানে।

তিনি আরও জানান, ‌‘দর্শনার্থীরা এখানে ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটিতে আইয়ুব বাচ্চুর কনসার্টের অভিজ্ঞতা নিতে পারবেন। তবে এই বিশাল স্বপ্ন বাস্তবায়নে প্রয়োজন সরকারি ও বেসরকারি সহযোগিতা। আমরা চাই, দেশের মানুষ এই উদ্যোগে পাশে থাকুক।

প্রকল্পটির পরিকল্পনা অনুযায়ী, মিউজিয়ামের পাশাপাশি সেখানে থাকবে একটি মিউজিক্যাল ক্যাফে, মিলনায়তন এবং নতুন সংগীতশিল্পীদের জন্য উন্মুক্ত স্টুডিও। এর মাধ্যমে তরুণ সংগীতপ্রেমীরা আইয়ুব বাচ্চুর জীবন ও সংগীতধারার সঙ্গে সরাসরি পরিচিত হওয়ার সুযোগ পাবেন।

ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা গেছে, মিউজিয়ামের প্রতিটি অংশে থাকবে আইয়ুব বাচ্চুর শিল্পযাত্রার গল্প। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় আসা, ‘এলআরবি’-এর উত্থান, তার সৃষ্ট জনপ্রিয় গান এবং কনসার্টের ঝলক।

সংগীতবোদ্ধাদের মতে, এই মিউজিয়াম শুধু স্মৃতি সংরক্ষণের স্থান নয়, বরং এটি হবে একটি সাংস্কৃতিক প্রেরণার কেন্দ্র। সেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সংগীতকে ভালোবাসতে ও জানতে অনুপ্রাণিত হবে।

আইকে/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

গ্রহণযোগ্যতা কমছে বাংলাদেশি পাসপোর্টের Oct 19, 2025
img
ধর্ম অবমাননা মামলায় নর্থ সাউথ শিক্ষার্থী অপূর্ব পালের স্বীকারোক্তি Oct 19, 2025
img
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোতে টহল ও নজরদারি জোরদার Oct 19, 2025
img
গাজা যুদ্ধের নাম 'মুক্তিযুদ্ধ' করার প্রস্তাব নেতানিয়াহুর Oct 19, 2025
img
পরিমাপের ক্ষেত্রে মানসম্মত পরিসংখ্যানের গুরুত্ব অপরিসীম: প্রধান উপদেষ্টা Oct 19, 2025
img
শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার প্রশিক্ষণ চালু করছে ডাকসু Oct 19, 2025
img
সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সচিবালয়ে ডাকা হলো জরুরি বৈঠক Oct 19, 2025
img
কার্গো ভিলেজের আগুন পুরোপুরি নির্বাপণ: ফায়ার সার্ভিস পরিচালক Oct 19, 2025
img
দীপাবলির অনুষ্ঠানে বাঙালি পোশাকে নজর কাড়লেন সাইফ Oct 19, 2025
img
স্টার্কের ‘বুলেট বল’ ১৭৬.৫ কিমি! Oct 19, 2025
img
শিল্প-সাহিত্যকে নোংরা রাজনীতির বাইরে রাখতে হবে : বেবী নাজনীন Oct 19, 2025
img
আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না : ইসি আনোয়ারুল Oct 19, 2025
img
রাঘব-পরিণীতির ঘরে এলো নতুন অতিথি Oct 19, 2025
img
শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে আশ্বাস দিলেন মির্জা ফখরুল Oct 19, 2025
img
ইসিকে গনিমতের মাল হিসেবে ভাগ করে নিয়েছে : নাসিরুদ্দীন পাটোয়ারী Oct 19, 2025
img
শিগগিরই এনসিপি জুলাই সনদে স্বাক্ষর করবে, আশাবাদী রিজওয়ানা Oct 19, 2025
img
পরমাণু চুক্তি থেকে একযোগে সরে দাঁড়াল ইরান, চীন ও রাশিয়া Oct 19, 2025
img
নতুন ছবি নিয়ে শাকিব-ববি আবারও একসঙ্গে Oct 19, 2025
img
দুর্নীতি না থাকলে আজ দেশ সিঙ্গাপুর হতো: শিবির সেক্রেটারি Oct 19, 2025
img
চট্টগ্রাম বন্দরে গাড়ি প্রবেশে বাড়তি মাশুল আপাতত স্থগিত Oct 19, 2025