অতীতের আওয়ামী পদ্ধতির নির্বাচন জনগণ আর কোনোভাবেই মেনে নেবে না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের বিনা ভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালের নৈশকালীন ভোট এবং ২০২৪ সালে আমি ও ডামি নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি জনগণ দেখতে চায় না। তাই একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার আগে প্রশাসনের দলবাজি বন্ধ করতে হবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর মহাখালিতে কলেরা হাসপাতালের সামনে জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও নভেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে দাবিতে গণমিছিল পূর্ব বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
সৎ, যোগ্য, দল নিরপেক্ষ ও প্রজ্ঞাবান লোকদের দিয়ে প্রশাসন পুনর্গঠন এবং সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা ছাড়া জনগণ দায়সারা গোছের তামাশার কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না বলে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করেন অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ জীবনের সবক্ষেত্রে আল্লাহর বিধান প্রতিষ্ঠার জন্য আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানের ২৪ এবং বাংলাদেশের ৫৪ মোট ৭৮ বছরে কোনো সরকার দেশে কুরআনের বিধান প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেনি। অথচ পাকিস্তানের স্বপ্নদ্রষ্টা কায়েদে আযম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ হাতে কুরআন নিয়ে কুরআনকে পাকিস্তানের সংবিধান বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা কাজে পরিণত করেননি। স্বাধীনতার পর যারাই ক্ষমতায় এসেছেন তারাও সংসদের কুরআনের আইন পাস করেননি। কিন্তু এরইমধ্যে আল্লাহর আইনের পক্ষে দেশে জনমত সৃষ্টি হয়েছে।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নিকট অতীতে সেখানে দাড়ি, টুপি ও ইসলামী লেবাসধারীদের অপদস্ত করা হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঢাবিসহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও ইসলামী আদর্শের ছাত্ররাই বিজয়ী হয়েছে। তিনি ছাত্রদের এ ঐতিহাসিক বিজয়কে জাতীয় সংসদ পর্যন্ত টেনে নিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি আগামী সংসদকে কুরআন সংসদে পরিণত করার জন্য দাঁড়িপাল্লার প্রতীকের গণজোয়ার সৃষ্টি করে সবাইকে ময়দানে আপসহীন ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমানের সঞ্চালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের ডা. ফখরুদ্দীন মানিক ও ইয়াছিন আরাফাত, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য মোহাম্মদ জামাল উদ্দীন, মুহিবুল্লাহ, ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার ও ঢাকা মহানগর উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য নাসির উদ্দীন।
আইকে/ টিএ