জবানবন্দি শেষে কারাগারে মাহির ও বর্ষাসহ ৩ আসামি

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জুবায়েদ হোসেন হত্যার ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বার্জিস শাবনাম বর্ষা, তার প্রেমিক মাহির রহমান, ফারদীন আহম্মেদ আয়লান। এছাড়া মাহিরের বন্ধু প্রীতম চন্দ্র দাস এ মামলায় সাক্ষ্য দেন।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের পৃথক চার আদালত তাদের জবানবন্দি ও সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে মেহেদী হাসানের আদালতে মাহির, মাসুম মিয়ার আদালতে বর্ষা ও জুয়েল রানার আদালতে আয়লার জবানবন্দি দেন। এরপর তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। 

রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আসামিরা স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বংশাল থানার উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফ হোসেন জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন। আদালত পৃথক চার আদালতে ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এদিন সকালে নিহত জুবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বাদী হয়ে রাজধানীর বংশাল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নিহত জুবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করাতেন। গত ১৯ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি বংশাল থানাধীন ৩১নং ওয়ার্ডের নুর বক্স লেনের ১৫নং হোল্ডিং ‘রৌশান ভিলায়’ পড়ানোর জন্য যান।

হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য আসে ওই ছাত্রীর মাধ্যমেই। অভিযোগমতে, ১৯ অক্টোবর সন্ধ্যা প্রায় ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে ওই ছাত্রী (বর্ষা) জুবায়েদ হোসেনের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছোট ভাই সৈকতকে মেসেঞ্জারে জানায় যে, ‘জুবায়েদ স্যার খুন হয়ে গেছেন, কে বা কারা তাকে খুন করে ফেলেছে।’ খবরটি ওইদিন রাত আনুমানিক ৭টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. কামরুল হাসান জুবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেনকে মোবাইল ফোনে জানান। খবর পেয়ে এনায়েত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থল রৌশান ভিলায় পৌঁছান। ভবনের নিচতলা থেকে ওপরে ওঠার সময় তিনি সিঁড়ি এবং দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। পরবর্তী সময়ে ভবনের তৃতীয় তলার একটি কক্ষের পূর্ব পার্শ্বের সিঁড়িতে জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উপুড় অবস্থায় দেখতে পান তিনি।

ময়নাতদন্ত শেষে গত ২০ অক্টোবর জুবায়েদকে কুমিল্লার কৃষ্ণপুর গ্রামে দাফন করা হয়।

ইউটি/টিএ


Share this news on:

সর্বশেষ

img
বায়ার্ন মিউনিখে নতুন চুক্তিতে ভিনসেন্ট কোম্পানি Oct 22, 2025
img
এক ম্যাচেই ৭ রেকর্ড! বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে রোমাঞ্চ Oct 22, 2025
img
মধ্যরাতে উত্তাল বুয়েট Oct 22, 2025
img
রহস্যের নাম ‘ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড’! ভারতের হারে বাড়ছে নিয়ম ঘিরে বিতর্ক Oct 22, 2025
img
পাক হামলাতেই প্রাণ গেল ৩ আফগান ক্রিকেটারের, প্রমাণ থাকার দাবি ক্রিকেট বোর্ডের Oct 22, 2025
img
অ্যাডিলেডেও কোহলিকে থামাতে পরিকল্পনা প্রস্তুত, আগেভাগেই জানাল অস্ট্রেলিয়া Oct 22, 2025
img
রোনালদো ভারত সফরে না আসা নিয়ে মুখ খুললেন আল নাসরের কোচ Oct 22, 2025
img
আজ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে জামায়াতের ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল Oct 22, 2025
img
সাভার ও আশুলিয়া নিয়ে সিটি করপোরেশন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার: আসিফ মাহমুদ Oct 22, 2025
img

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

লোপেসের হ্যাটট্রিক, অলিম্পিয়াকোসকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিল বার্সেলোনা Oct 22, 2025
img
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় সংস্কার, দখলে নিল এনসিপি Oct 22, 2025
img
‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে জামায়াত রাজনীতি করতে পারবে না, নিষিদ্ধ করা হবে’ Oct 22, 2025
img
৩ ঘণ্টা পর রাজশাহীতে লাইনচ্যুত ৩টি বগি উদ্ধার, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক Oct 22, 2025
img
কোনো শক্তি তারেক রহমানকে ঠেকিয়ে রাখতে পারবে না : প্রিন্স Oct 22, 2025
img
এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ভাতা বাড়াতে ৬ শর্তে সম্মতি দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় Oct 22, 2025
img
‘বাংলাদেশি কর্মীদের ভিসা দিচ্ছে না কাতার’ শীর্ষক প্রচারণাটি গুজব Oct 22, 2025
img
আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি মানা সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Oct 22, 2025
img
চিকিৎসার পাশাপাশি সুরের ভুবনে ঝংকার তুলছেন আনিসুর রহমান রানা Oct 22, 2025
কখন শুরু হয় জুমুয়ার নামায Oct 21, 2025
টানাপোড়ন এর সেটে গান গাইলেন তাসনুভা তিশা ও জাহের আলভি Oct 21, 2025