শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত প্রিজনভ্যান মোটেও বড় কোনো ইস্যু নয় : জাহেদ উর রহমান

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘যে প্রিজনভ্যানে করে তাদের (সাবেক-বর্তমান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা) আনা হয়েছে, সেটা নিয়ে প্রশ্ন এবং তীব্র রাগ-ক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। প্রত্যেকটা কিন্তু পরিকল্পনার অংশ। প্রিজনভ্যান শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ছিল কি না, আমি নিশ্চিত নই। যদি হয়েও থাকে, সেটা মোটেও বড় কোনো ইস্যু হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি না।

বুধবার (২২ অক্টোবর) তার ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে এ মন্তব্য করেন।

ডা. জাহেদ বলেন, ‘তাদের সাবজেলে কেন রাখা হবে, সেটা নিয়ে কেউ কেউ কথা বলছেন। এমনকি গুমের ভুক্তভোগীরাও বলছেন। গুমের ভুক্তভোগীদের প্রতি সহানুভূতি রেখে বলব, তাদের ব্যক্তিগত রাগ-ক্ষোভ আছে, এটা স্বাভাবিক।

কিন্তু তাদের বক্তব্যকে শিরোধার্য করেই আমরা সব কিছু করতে পারি না। আমরা তাদের সব কথাকে যে ঠিকভাবে নেব, তা নয়। তাদের ট্রমা আছে। যখন তারা এই বিচার দেখবেন, তাদের ভালো লাগবে।

এই বিচার হওয়া দরকারও আছে। কিন্তু আইনি পথে যতগুলো স্টেপ নেওয়া হয়েছে তার বিরোধিতা করা মানেই হলো কেউ সংঘাত এবং ঝামেলা বাধানোর চেষ্টা করছে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ভালনারেবল টাইমে সেনাবাহিনীর মতো সবচেয়ে সুশৃঙ্খল একটা বাহিনী এবং এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীটাকে এই ধরনের বিশৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে গেলে কার লাভ হতে পারে, আমরা বুঝতে পারি। এ ধরনের দুর্বল অবস্থায় বহিঃশত্রু তো আছেই, আমাদের অভ্যন্তরীণ স্টেবিলিটির জন্যও নিরাপত্তা বাহিনী সবচেয়ে জরুরি।’
 
তিনি বলেন, ‘সামনে নির্বাচন আছে। সুতরাং এই সব কিছুকে সামনে রেখে সেনাবাহিনীকে কোনো না কোনোভাবে চাপে ফেলে এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করে জনগণের শত্রুতে পরিণত করার চেষ্টা করা আখেরে আমাদের জন্য ভালো হবে না। সে কারণে বলি, অতি তুচ্ছ ব্যাপারে যেন আমরা শোরগোল না করি।’

সাবেক-বর্তমান সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের আদালতে নেওয়া নিয়ে তিনি বলেন, ‘উনারা কোন প্রিজনভ্যানে গেছেন, কোন সাবজেলে থাকবেন, সাবজেলে কেন থাকবেন? কেন অন্য জেলে থাকবেন না? এই আলাপগুলো করে আসলে সেই নেকড়ে যে ভেড়ার বাচ্চাকে খাবে, সেই গল্প স্মরণ করিয়ে দেয়। ও যেহেতু ভেড়ার বাচ্চাকে খাবে, সে জন্য উজানে দাঁড়িয়েও বলছে পানি ময়লা করছিস। তারপর বলছে তুই গালি দিয়েছিস গত বছর। ও বলছে আমি তো গত বছর জন্মাইনি। তোর মা গালি দিয়েছে বলে খাবে।’

কেএন/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img

মানবতাবিরোধী অপরাধ

শেখ হাসিনা ও কামালসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে রায়ের তারিখ ধার্য হতে পারে আজ Oct 23, 2025
img
ফ্রি ফায়ার ওয়ার্ল্ড সিরিজ খেলতে জাকার্তায় যাচ্ছে বাংলাদেশ দল! Oct 23, 2025
img
ফেসবুক লাইভে এসে আ.লীগে যোগ দেওয়ার কথা জানালেন বিএনপি নেতা ফজলুর করিম Oct 23, 2025
img
বাড়ল ডলারের দাম ! Oct 23, 2025
img
গরু চুরির মামলায় কারাগারে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা Oct 23, 2025
img
অক্টোবরের ২১ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এলো ১৮৫ কোটি ৩০ লাখ মার্কিন ডলার Oct 23, 2025
img
অবশেষে কমলো রুপার দাম! Oct 23, 2025
img
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাজনৈতিক বাগবিতণ্ডার জেরে ২ গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ Oct 23, 2025
img
গাজীপুরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় ৩ ঘণ্টা পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সচল Oct 23, 2025
img
ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক অনিশ্চিত, ‘অফলপ্রসূ' আলোচনায় রাজি নন ট্রাম্প Oct 23, 2025
img

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ

গার্ডনারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরি, ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বড় জয় পেল অস্ট্রেলিয়া Oct 23, 2025
img
ভারত থেকে ২-১ গোলে জিতে ফিরছে রোনালদোর আল-নাসের Oct 22, 2025
img
নওগাঁয় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ জনের, আহত ৪ Oct 22, 2025
কেয়ামত কি আসলেই খুব কাছে Oct 22, 2025
৪৫ বছর আগের শাড়ি পরে জয়ার আবেগের মুহূর্ত! Oct 22, 2025
দেবরের প্রেমে শ্রীদেবী, মাধুরীর ভাগ্য বদল! Oct 22, 2025
img
এল ক্লাসিকোর আগে সুখবর পেল বার্সেলোনা Oct 22, 2025
আগামীকাল ধার্য হতে পারে শেখ হাসিনার মামলার রায়ের তারিখ Oct 22, 2025
সেনাবাহিনীকে গালি না দেওয়ার অনুরোধ আযমীর Oct 22, 2025
ভোলার চরফ্যাশনে মক্তবঘর দখলের অভিযোগ - কি বলছেন স্থানীয়রা Oct 22, 2025