রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ঘটল এক বিরল দৃশ্য স্পিডস্টার কাগিসো রাবাদা শুধু বল নয়, ব্যাট হাতে লিখলেন নতুন ইতিহাস। দক্ষিণ আফ্রিকার এই পেসার নামলেন ১১ নম্বরে, আর সেখানেই করলেন এমন কীর্তি যা ১১৯ বছর ধরে কেউ ছুঁতে পারেনি। চারটি চার ও চারটি ছক্কায় সাজানো ৭১ রানের ইনিংস তাকে বানিয়েছে প্রোটিয়াদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের ১১ নম্বর ব্যাটার।
এই রেকর্ডের মালিকানা এতদিন ছিল আলবার্ট ভগলারের, যিনি ১৯০৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন ৬২ রান। রাবাদা সেই প্রায় দেড় শতাব্দী পুরনো রেকর্ডকে ভেঙে দিলেন পাকিস্তানের মাটিতে, যেখানে টেস্টে ১১ নম্বর ব্যাটারের এমন ইনিংস সচরাচর দেখা যায় না।
রাবাদা যখন ক্রিজে নামেন, তখন দক্ষিণ আফ্রিকা ছিল বিপাকে। মিডল অর্ডার ধসের পর ৩৩৩ রানের পাকিস্তানি ইনিংসের সমতায় পৌঁছানোই তখন কঠিন মনে হচ্ছিল। কিন্তু সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাওয়া সেনুরান মুথুসামির সঙ্গে রাবাদা গড়ে তোলেন ১১৭ বলে ৯৮ রানের অমূল্য জুটি। তাদের সেই পার্টনারশিপেই দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংসে ৭১ রানের লিড পেয়ে যায়।
রাবাদার ইনিংস ছিল পরিমিত ও বুদ্ধিদীপ্ত। তিনি রক্ষণে ছিলেন দৃঢ়, আবার সুযোগ পেলেই আঘাত হেনেছেন পাকিস্তানি বোলারদের ওপর। শেষ উইকেটের এই জুটিই গড়ে দেয় ম্যাচের মোড় ঘোরানোর ভিত্তি।
৭১ রানের ইনিংসটি শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে নয়, টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসেও অন্যতম সেরা। ১১ নম্বর ব্যাটার হিসেবে এটি টেস্টের পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোর তার ওপরে রয়েছেন কেবল অ্যাশটন আগার (৯৮), টিনো বেস্ট (৯৫), জেমস অ্যান্ডারসন (৮১) ও জাহির খান (৭৫)।
আরেকটি কীর্তি গড়েছেন রাবাদা ও মুথুসামি পাকিস্তানের মাটিতে ৭ম উইকেট পড়ে যাওয়ার পর কোনো দল কখনো ১৯৪ রান যোগ করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার এই ইনিংস এখন সেই রেকর্ডের অধিকারী। দিনের শেষে পাকিস্তান দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৪/৪, লিড মাত্র ২৩। ম্যাচের এই অবস্থায় সিরিজ সমতায় রাখার লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাই এখন এগিয়ে।
রাবাদা বল হাতে যতটা ভয়ংকর, রাওয়ালপিন্ডিতে প্রমাণ করলেন প্রয়োজনে তিনিই হতে পারেন দলের ব্যাটিং ত্রাণকর্তা।
এবি/টিএ