‘দলীয় উপদেষ্টা’ বিতর্কে আসিফ মাহমুদের নাম তুলে ধরলেন মাসুদ কামাল

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের তিন দিন পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন হয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। শুরু থেকেই দাবি করা হচ্ছিল অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হওয়া ব্যক্তিরা সবাই দল নিরপেক্ষ। তবে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির প্রতিনিধিদল। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটি দাবি কমন, তা হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ‘দলীয় উপদেষ্টা’ বাদ দেওয়া।

রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের দাবি, উপদেষ্টা পরিষদে দলীয় উপদেষ্টা থাকলে তা আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে বাধাগ্রস্ত করবে। এ কারণে তারা নির্বাচনের আগে ‘দলীয় উপদেষ্টাদের’ অপসারণ চেয়েছেন। তবে কোনো দলের প্রতিনিধিরাই নির্দিষ্ট কোনো নাম বলেননি প্রধান উপদেষ্টার কাছে।

তবে এই ‘দলীয় উপদেষ্টা’ তালিকায় অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের নাম থাকবে বলে মনে করেন সিনিয়র সাংবাদিক মাসুদ কামাল।

আজ বৃহস্পতিবার তার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিওতে মাসুদ কামাল বলেন, “আমার ধারণা, রাজনৈতিক দলের নেতারা যে ‘দলীয় উপদেষ্টাদের’ কথা বলেছেন তার মধ্যে আসিফ মাহমুদ আছেন। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অযোগ্যতা, যুক্ত হয়েছে ক্ষতিকর অযোগ্যতা। কিছু কিছু লোক আছে কোনো কাজ করতে পারে না সে অযোগ্য।’

আসিফ মাহমুদকে মনে করার কারণ হিসেবে তিনি উপদেষ্টার সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন।

যে পোস্টে আসিফ মাহমুদ জানান, ভারতের সঙ্গে শেখ হাসিনার আমলে করা কয়েকটি চুক্তি বাতিলের খবর। তবে পরবর্তীতে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এমন তথ্য নাকচ করে দেন। উপদেষ্টা পদে থেকে আসিফ মাহমুদের এমন কর্মকাণ্ডকে ‘ভুল কাজ বা উল্টাপাল্টা কাজ’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন মাসুদ কামাল।

তিনি বলেন, ‘আসিফ মাহমুদ অযোগ্য। এত ভুল কাজ করেন, উল্টাপাল্টা কাজ করেন।

আমাদের প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্ক চরম খারাপ করার জন্য এমন দু-একটা (আসিফ মাহমুদের ফেসবুক পোস্ট) ঘটনাই যথেষ্ট। আপনি কত বড় বীর হয়ে গেছেন ভাই, যে আপনি এই ধরনের অপকর্ম করেন।’

ইএ/টিকে

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ইসরায়েলকে ট্রাম্পের কড়া হুঁশিয়ারি Oct 23, 2025
img
৩১ দফা সাধারণ মানুষের আশার প্রতীক : দাউদার মাহমুদ Oct 23, 2025
img
মুন্সীগঞ্জের সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ ১০ দিনের রিমান্ডে Oct 23, 2025
img
ট্রাম্পের চাপে যুদ্ধ থামাতে বাধ্য হন নেতানিয়াহু! Oct 23, 2025
img
পরিবর্তন হল বাগছাসের নাম Oct 23, 2025
img
১২ ফেব্রুয়ারি ফয়সালা হয়ে যাবে, কে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসবে : জয়নুল আবদিন Oct 23, 2025
img
সহজ ম্যাচ কঠিন করে নেপালের বিপক্ষে জিতল বাংলাদেশ Oct 23, 2025
img
‘চাই না আমার কারণে শাহরুখের সংসার ভাঙুক’ Oct 23, 2025
img
মার্কিন শুল্ক কমাতে চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ভারত Oct 23, 2025
img
আমি বিএনপির কোনো রোহিঙ্গা নই : অ্যাডভোকেট পাপিয়া Oct 23, 2025
img
সৌদির নেতাদের মরুতে উট চড়ানোর কথা বলে মাফ চাইলেন বাজায়েল স্মোরিচ Oct 23, 2025
img
সালমান শাহ হত্যা মামলায় অভিযুক্তদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা Oct 23, 2025
img
৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা Oct 23, 2025
img
পুলিশের ঊর্ধ্বতন ৬ পদে রদবদল Oct 23, 2025
img
মোহাম্মদপুরে বিশেষ অভিযানে গ্রেপ্তার ১৩ Oct 23, 2025
img
জীবন দিলেও যদি চরিত্র না বদলায়, ভাগ্যও বদলাবে না : ফয়জুল করীম Oct 23, 2025
img
ম্যাচসেরা সৌম্য, প্রশংসায় বুলবুল Oct 23, 2025
img
ডিসেম্বরে ঢাকা আসছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি Oct 23, 2025
img
দেশে ফিরছেন শেখ হাসিনা, দাবি বিএনপির সাবেক নেতার Oct 23, 2025
img
‘ট্রাম্পের পদক্ষেপ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার শামিল’ Oct 23, 2025