নিকট অতীত ও সাম্প্রতিক সময়ে তার ব্যাটে মোটেই রান ছিল না। ক্যারিয়ারের ৩ নম্বর ও সর্বশেষ সেঞ্চুরিটিও প্রায় ২ বছর আগে; ২০২৩ সালের ২০ ডিসেম্বর নেলসনে নিউজিল্যান্ডের সাথে (১৫১ বলে ১৬৯)।
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে লম্বা ওই ইনিংস খেলার ১২ ইনিংস পর (৪, ৩, ৬৮, ৩৩, ৩৫, ২৪, ১৯, ২, ৭৩, ০, ৪, ৪৫) আজ শেরে বাংলায় আবার শতরানের সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু মাত্র ৯ রানের জন্য পারেননি।
৮৬ বলে ৪ ছক্কা ও ৬ বাউন্ডারিতে ৯১ (স্ট্রাইকরেট ১১১.১১) রান করে স্লগ করে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেট সীমানার কাছে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৌম্য। সেঞ্চুরি হয়তো হয়নি। কিন্তু সৌম্যর মানের একজন ব্যাটারের জন্য এর চেয়ে ভালো ও আলো ঝলমলে প্রত্যাবর্তন আর কী হতে পারে? দারুণ খেলে ম্যাচসেরাও হয়েছেন সৌম্য।
সৌম্যর এইভাবে ফেরায় খুশি বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শেরে বাংলার প্রেস বক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সৌম্যর প্রশংসা তো করলেনই, টিম ম্যানেজমেন্ট ও নির্বাচকদেরও ধন্যবাদ জানালেন।
বুলবুলের কথা, ‘সৌম্য তো অলওয়েজ ট্যালেন্টেড ক্রিকেটার। তবে আমি টিম ম্যানেজমেন্টকে ধন্যবাদ দেব যে তাকে কন্টিনিউ করিয়েছে। কারণ সিলেকশন এমন একটা জিনিস যে, একটা ম্যাচ খারাপের পরে আমরা সাধারণত ড্রপ করে দিতাম। সৌম্যর এই ব্যাটিং বা কনফিডেন্সটা পাওয়ার ব্যাপারে (আস্থা রাখা) অনেক কাজ করেছে।’
তবে আজকে সৌম্যর সেঞ্চুরি হাতছাড়া করাটা মোটেই মানতে পারছেন না বুলবুল। বিসিবি সভাপতির কথা, ‘আজকে সৌম্য যেভাবে খেলেছে, তাতে তার সেঞ্চুরি করার কথা। এবং দেড়শোর রানের ইনিংস খেলার কথা।’
সৌম্য আউট হয়েছেন ইনিংসের ২৮.১ ওভারে। তারপর আরও ২১.৫ ওভার খেলা বাকি ছিল। তাই বুলবুলের ব্যাখ্যা, ‘৯১-এ আউট হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে মনে হয়েছে যে এটা সৌম্যর ক্যালিবারে ১৫০ হতে পারতো। তবে সৌম্য আসলেই আসলেই অনেক ভালো শুরু করেছে।’
টিজে/টিকে