পূর্ণমেয়াদে বিসিবি সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার দুদিন পরই পরিবারের সাথে দেখা করতে অস্ট্রেলিয়া চলে গিয়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ফিরেছেন গতকাল বুধবার গভীর রাতে।
আজ দুপুর না গড়াতেই মাঠে এসে উপস্থিত বিসিবি প্রধান। খেলা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে দুপর সাড়ে বারোটা নাগাদ পিয়াজ রংয়ের ফুল শার্ট পরে শেরে বাংলায় হাজির বুলবুল। মাঠে এসে উইকেট দেখলেন। ওয়ার্মআপ ও প্র্যাকটিসে থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের সাথে সৌজন্যতা ও কুশল বিনিময় করলেন।
অবশেষে প্রথম ইনিংস বিরতিতে শেরে বাংলার প্রেস বক্সেও দেখা মিললো বিসিবি প্রধানে। সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার রাতে জনাকীর্ন সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেছিলেন। তার পর আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ খেলা চলাকালীন শেরে বাংলার প্রেস বক্সে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করলেন।
বাংলাদেশ ইনিংস শেষে মিডিয়ায় কথা বলতে এসে সাংবাদিকদের সাথে কুশল বিনিময়, সৌজন্যতা বিনিময়ের পাশাপাশি শেরে বাংলার উইকেট, সৌম্যর রানে ফেরা, মিরাজের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব, বিপিএল আর তিন ফরমাটের নেতৃত্ব নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন বুলবুল।
মিরপুরের উইকেট নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিসিবি প্রধান স্বীকার করেছেন, ‘মিরপুরের উইকেটটা খুবই একটা কমপ্লিকেটেড। তবে প্রথম দুটো ম্যাচে উইকেট যা দেখেছিলাম, বেশ ধীরগতি ছিল। মিরপুরের মাটিটাই আসলে আমার কাছে মনে হচ্ছে যে একটু স্লো ধরনের। আজকে যেটা মনে হয়েছে যে উইকেটটা বেশ শুকনো ছিল এবং ময়েশ্চার কম ছিল। বাট যেহেতু এটা একটা স্পেশালিস্ট জিনিস, আমি এর বেশি মন্তব্য করতে পারবো না।’
‘তবে যেহেতু এই মাটিটা দেখতে পাচ্ছি যে এটা খুব ভালো আচরণ করছে না। তাই এখানে আমাদের ভবিষ্যতে কী করা যায় (ভাবছি)। এমনও হতে পারে যে আমরা হয়তো যারা নাকি স্পেশালিস্ট তাদের সাথে কথা বলে দেখব। দুটো করে পিচ আমরা অন্য মাটি দিয়েও ট্রাই করে দেখব।’
নতুন কিউরেটর টনি হেমিং আসার পর মিরপুরের উইকেটের আচরণগত কোনো পার্থক্য এসেছে কিনা? জানতে চাইলে বুলবুলের জবাব, ‘বাংলাদেশের যত ক্রিকেট ভেন্যু আছে, ভবিষ্যতে যে ভেন্যুগুলো আমাদের দরকার হবে, সে সবগুলো নিয়ে আমরা কিছু লং টার্ম, মিড টার্ম এবং শর্ট টার্ম প্ল্যান করছি। আমাদের যে শর্ট টার্ম প্ল্য্যানগুলো, আমাদের যে টেস্ট ভেন্যুগুলো আছে, এই ভেন্যুগুলোকে আমরা যত তাড়াতাড়ি যত সচল রাখব। কারণ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে একেকটা উইকেট একেক অবস্থায় আছে এখন। সেগুলো পর্যালোচনা করে আমরা কীভাবে টেস্ট ফ্রেন্ডলি, ওয়ানডে ফ্রেন্ডলি এবং টি-টোয়েন্টি ফ্রেন্ডলি করা যায় সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাব। তবে এটা হাইলি টেকনিক্যাল একটা কাজ এবং তড়িঘড়ি না করে ধীরেসুস্থে আমরা এগোতে চাই।’
টিজে/টিকে