২০২৪ সালের ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকারের পতনের তিন দিন পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠন হয় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। শুরু থেকেই দাবি করা হচ্ছিল অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা হওয়া ব্যক্তিরা সবাই দল নিরপেক্ষ। তবে সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির প্রতিনিধিদল। তাদের দাবিগুলোর মধ্যে একটি দাবি কমন, তা হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে ‘দলীয় উপদেষ্টা’ বাদ দেওয়া। এসব রাজনৈতিক দলের নেতারা কয়েকজন উপদেষ্টার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তবে কোনো দলের প্রতিনিধিরাই নির্দিষ্ট কোনো নাম বলেননি।
রাজনৈতিক দলের নেতাদের কাছ থেকে ‘দলীয় উপদেষ্টা’ বাদ দেওয়ার দাবি ওঠার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় আলোচনা। কারা কারা আছেন এই তালিকায়। কোন দল কোন উপদেষ্টা নিরপেক্ষ মনে করেন না—এসব নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা।
এরই প্রেক্ষিতে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তিন রাজনৈতিক দলের বৈঠকে উপদেষ্টদের নিরপেক্ষতা সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে। একটি দলের তালিকায় আমার নামও আছে। আত্মপক্ষ সমর্থনে শুধু এটুকুই বলা যে, আমি পক্ষপাতদুষ্ট চিন্তা করতে ও সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভ্যস্ত নই।
সবসময় কোনোরূপ অনুরাগ বিরাগের বশবর্তী না হয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবুও প্রশ্ন যেহেতু উঠেছে এর নিষ্পত্তি করতে হবে।’ বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করছেন মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বঙ্গগ্রাফ নামের একটি ফেসবুক পেজের তিনটি ফটোকার্ড শেয়ার করে ক্যাপশনে এসব কথা লিখেছেন।
আজ শুক্রবার দেওয়া ফেসবুক পোস্টে তিনি আরো বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, উপদেষ্টাবৃন্দ, বিশেষ সহকারীবৃন্দ, চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত সব কর্মকর্তাদের কেউই পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের (যে দলই সরকার গঠন করুক না কেন) কোনো লাভজনক পদে অংশ নিতে পারবেন না এই মর্মে একটি অধ্যাদেশ জারি করলে এ সমস্যার সুরাহা হতে পারে বলে আমি মনে করি। তবে শর্ত থাকে যে, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন তাদের ক্ষেত্রে উপরোক্ত বিধান প্রযোজ্য হবে না।’
এবি/টিকে