বছর কয়েক আগে কোক স্টুডিও পাকিস্তান যখন 'পাসুরি' রিলিজ করে, তখন শ্রোতাদের মাঝে একটু বিশেষভাবেই নজর কেড়েছিলেন পাক সংগীতশিল্পী শে গিল। কিন্তু জানেন কি, গায়িকা নয়, একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এক 'পাসুরি' গানেই বদলে যায় তার ভাগ্য। এই গানটি তাকে বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
শে গিলের মতো এমন কাহিনি বলিউডসহ আশেপাশের ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায়ই শোনা যায়। তবে সম্প্রতি এই শিল্পীর একটি একক গান প্রকাশ পেয়েছে, যার নাম 'ইনসিকিওরিটি', যা বেশ সাড়া ফেলেছে শ্রোতামহলে। সে থেকে ফের আলোচনায় এই গায়িকা।
সম্প্রতি এ নিয়ে দ্যা গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে তার সেসব গল্প। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শে গিল নিজের এই গানের পেছনের কাহিনি ও ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেন।
গায়িকা মনে করেন, 'পাসুরি'-র পর এক লাফেই যেহেতু তিনি তারকা বনে গেছেন, সেহেতু তার খ্যাতিও বেশিদিন থাকবে না। তাই তিনি তার প্রথম সলো সং 'ইনসিকিওরিটি' মুক্তির সময় এমন শঙ্কায়ই ছিলেন যে একটা সময় শ্রোতারা তাকে ভুলে যাবেন। তার কথায়, শুরুর দিকে এটা সত্যিই খুব ভয়ের ছিল, যে কারণে আমি শুধু কোলাবোরেশন করে গাইতাম।
এই শিল্পী জানান, স্টারডমের মতো কিছু চাননি তিনি, কিন্তু সৃষ্টিকর্তা যেহেতু দিয়েছেন, তা গ্রহণ করতেই হয়। তার কথায়, ঈশ্বর আমাকে এই পুরো জিনিসটা দিয়েছেন। আমি ভাবলাম, ঠিক আছে, এখন আমাকে এটা গ্রহণ করতে হবে।
এখন তারকা বনে গিয়েও যেন দায়িত্ব অনেকগুণ বেড়েছে- এমনই মনে করেন এই শিল্পী।
'ইনসিকিওরিটি' গানের প্রোজেক্ট চলাকালে গায়িকাকে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়েছে। শে গিল বলেন, আমি পুরো জুন মাস ঘুমাইনি, কারণ আমি মিউজিক ভিডিও নিয়ে খুব চাপে ছিলাম। আমি সবকিছুর খুঁটিনাটি দেখতাম। আমি দিনে খুব কম, হয়তো দু-তিন ঘণ্টা ঘুমাতাম।
তবে এই কাজের বাইরে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথাও জানান শে গিল। আগামী ২ নভেম্বর দুবাইতে তার একটি পারফর্ম আছে। তাই তিনি এখন সেখানে।
দুবাইতে কেমন কাটছে, সে প্রসঙ্গে আমিরাতের এই গণমাধ্যমকে শে গিল বলেন, ব্যক্তিগতভাবে এই শহর আমাকে খুব টানে। আমি যে সমস্ত জায়গায় গিয়েছি, তার মধ্যে দুবাইকে আমি ভালোবাসি। এটা মজাদার, এটা নিরাপদ, এটা খুব পরিষ্কার, হ্যাঁ, এটা শুধুই সুন্দর।
তবে সাময়িক নয়, পুরোপুরি দুবাইতে থিতু হওয়ার চিন্তাও রয়েছে এই শিল্পীর। বলেন, আমি ভাবছি... ভবিষ্যতে সেখানে সম্পত্তি কিনব এবং তারপর, যখনই আমার ইচ্ছা হবে আমি এসে বেড়াতে পারব।
শে গিল ১৯৯৯ সালের ২২ জানুয়ারি লাহোরে একটি পাঞ্জাবি খ্রিস্টান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন, যেখানে তিনি বেড়ে ওঠেন। তিনি ফরমান ক্রিশ্চিয়ান কলেজের ছাত্রী ছিলেন। শে গিল ২০১৯ সালে ইনস্টাগ্রামে একজন কভার-আর্টিস্ট হিসাবে তার কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। কোক স্টুডিওতে আলী শেঠির সাথে তার পাঞ্জাবি–উর্দু প্রথম দ্বৈত সঙ্গীত 'পাসুরি' প্রকাশ করার আগে তিনি মূলত ইনস্টাগ্রামে কভার গান পোস্ট করতেন।
আরপি/টিএ