পরিবর্তন সবসময়ই সংগঠন ও নেতৃত্বের মাধ্যমেই সম্ভব হয় : মোস্তফা ফিরোজ

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোস্তফা ফিরোজ বলেছেন, এনসিপির প্রতি সরকার, বিএনপি ও জামায়াতসহ সকলেরই সহানুভূতি আছে। আমরা যারা তাদের সমালোচনা করি, তাতেও আছে তাদের প্রতি স্নেহ, মায়া, মমতা। তারা একটি ঐতিহাসিক কাজ করেছেন, যা রাজনৈতিক দলগুলোকে করতে হতো, সেটিই তারা সম্পন্ন করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে এমন ঘটনা ঘটেনি।

এরশাদের পতনও রাজনৈতিক দলগুলোর আন্দোলনের মাধ্যমে ঘটেছে, কোনো বাহ্যিক শক্তি নয়। পরিবর্তন সবসময়ই সংগঠন ও নেতৃত্বের মাধ্যমেই সম্ভব হয়। তবে এই বিশেষ পরিবর্তনে ছাত্র নেতৃত্ব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, যারা রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াই ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাদের অবদান অস্বীকার করা যায় না।

সম্প্রতি তার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে তিনি এ প্রসঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে এনসিপির বৈঠক হয়েছে মূলত জুলাই সনদ স্বাক্ষরের বিষয় নিয়ে। এনসিপি ইতিমধ্যেই কিছুটা বিব্রত অবস্থায় আছে। সবাই সনদে স্বাক্ষর করেছে, কিন্তু জুলাইয়ে যারা নেতৃত্ব দিল তারা স্বাক্ষর করেনি।

দলটি বলছে, আইনি ভিত্তি ছাড়া সনদ স্বাক্ষর করা অর্থহীন।

মোস্তফা ফিরোজ উল্লেখ করে বলেন, ঐকমত্য কমিশন বিষয়টি আইনি দিক থেকে যাচাই করে সুপারিশ সরকারের কাছে পাঠাবে। কমিশনের মেয়াদ প্রায় শেষ হওয়ার কারণে, স্বাক্ষর না হলে এনসিপি রাজনৈতিকভাবে অসুবিধায় পড়তে পারে। তিনি মনে করেন, এনসিপি ঐকমত্য কমিশনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা পাবে এবং স্বাক্ষর করে এই পর্ব শেষ করবে। জুলাই সনদ নিষ্পত্তির পর তারা ভোটের দিকে মনোনিবেশ করবে।

তবে ভোটে তারা একা যাবে নাকি অন্য দলের সঙ্গে জোট করবে, তা এখনো নির্ধারিত নয়।

তিনি আরো বলেন, এনসিপির নির্বাচনে একা যাওয়া বা নিজে নিজে কয়েকটা দল মিলে জোট করলেও ভরাডুবির আশঙ্কা রয়েছে। সেক্ষেত্রে এনসিপিকে বিএনপি বা জামায়াতের মধ্যে একটি বেছে নিতে হবে।

আইকে/ টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ফেলানী অ্যাভিনিউয়ের নামফলক উন্মোচন Dec 16, 2025
img
বিজয়ের ৫৪ বছরে প্রত্যাশার তুলনায় প্রাপ্তি কম : ধর্ম উপদেষ্টা Dec 16, 2025
img

প্রধান উপদেষ্টা

১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন ও গণভোটের প্রস্তুতি চূড়ান্ত Dec 16, 2025
img
তারেক রহমানের জন্য প্রস্তুত বাসভবন ও অফিস Dec 16, 2025
img
হাসিনা-কামালকে দেশে ফেরাতে আইনি প্রক্রিয়া চলছে: প্রধান উপদেষ্টা Dec 16, 2025
img
হাদিকে উপর হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত সেই মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিকের তথ্য দিলেন কবির Dec 16, 2025
img
তরুণ প্রজন্ম ভিনদেশিদের দাদাগিরি মেনে নেয়নি, নেবে না : মুজিবুর রহমান Dec 16, 2025
img

প্রধান উপদেষ্টা

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিশ্চিতে সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে সরকার Dec 16, 2025
img
সিডনিতে বন্দুক হামলা চালানো যুবক ভারতীয় নাগরিক Dec 16, 2025
img
বাংলাদেশে সহিংস রাজনীতির সংস্কৃতির কোনো জায়গা নেই : রিজওয়ানা হাসান Dec 16, 2025
img
বলিউডের স্পাই সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ জন্ম দিল ভারত-পাকিস্তান রাজনৈতিক বিতর্কের Dec 16, 2025
img
কারিনা সংসারটাকে আগলে রেখেছে : সাইফ Dec 16, 2025
img
হাদিকে হামলার ঘটনায় ফয়সালের সহযোগী কবির ৭ দিনের রিমান্ডে Dec 16, 2025
img
হাদির সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা জানাল ইনকিলাব মঞ্চ Dec 16, 2025
img

ওসমান হাদির ওপর হামলা

ষড়যন্ত্রে জড়িতদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না : প্রধান উপদেষ্টা Dec 16, 2025
img
হাদির আরও একটি সার্জারি প্রয়োজন, তবে প্রস্তুত নয় শরীর Dec 16, 2025
img
নারী চিকিৎসকের নিকাব টেনে খুললেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধীদের নিন্দা Dec 16, 2025
img
বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এড়িয়ে সীমান্ত রক্ষা’র কথা বললেন রাহুল গান্ধী Dec 16, 2025
img
প্রথমবারের মতো 'বিগ ব্যাশে' রিশাদের দারুণ অভিষেক Dec 16, 2025
img
প্রেসিডেন্ট জিয়া বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছিলেন : এ্যানি Dec 16, 2025