হারা দলের সদস্য হয়েও ম্যাচসেরার পুরস্কার জিততে অসাধারণ কিছুই করতে হয়। ইংল্যান্ড অধিনায়ক হ্যারি ব্রুক নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে সেই কাজটাই করেছেন। ৫৬ রানে ৬ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরও তার সেঞ্চুরিতে ইংল্যান্ড পায় ২২৩ রানের সংগ্রহ। নিউজিল্যান্ড এই লক্ষ্য অনায়াসেই পার করেছে।
৩৫.২ ওভারে অলআউট হয়ে যাওয়া ইংল্যান্ডের দেয়া লক্ষ্য টপকাতে ৮ বল বেশি খেলতে হয়েছে নিউজিল্যান্ডকে। কিউইরা পায় ৪ উইকেটের জয়। হারা দলের সদস্য হয়েও ১০১ বলে ১৩৫ রান করা ব্রুক হয়েছেন ম্যাচসেরা। এটা ছিল ৩৩ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে ব্রুকের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছিলেনল ৯টি চার ও ১১টি ছয়ের মারে।
টি-টোয়েন্টি সিরিজ জেতা ইংল্যান্ড তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পিছিয়ে পড়লো ১-০ ব্যবধানে। পরের দুটি ম্যাচ হবে ২৯ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর। দ্বিতীয় ম্যাচটি হ্যামিল্টনে, তৃতীয়টি ওয়েলিংটনে।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ইংল্যান্ডও নিউজিল্যান্ডকে চেপে ধরেছিল। ৬৬ রানে তারা তুলে নেয় ৪ উইকেট। কিন্তু ড্যারেল মিচেল ও মাইকেল ব্রেসওয়েলের ফিফটিতে নিউজিল্যান্ড চাপ মোকাবিলা করে সহজেই জিতেছে। স্বাগতিকদের কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন ব্রাইডন কার্স। উইল ইয়ংকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙা এই পেসার পরে নেন কেন উইলিয়ামসন ও টম লাথামের উইকেট।
পঞ্চম উইকেটে মিচেল ও মাইকেল গড়েন ৯২ রানের জুটি। ব্রেসওয়েল ৫১ বলে ৫১ রান করে আউট হলেও ৭৮ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকেন মিচেল। ৯১ বলে তার ইনিংসে আছে ৭টি চার ও ২টি ছয়ের মার। মিচেল স্যান্টনার ড্যারেল মিচেলকে সঙ্গ দেন ২৭ রান করে।
ইংল্যান্ড পাওয়ার প্লের মধ্যেই দুমড়েমুচড়ে যায় জাকারি ফকস ও ম্যাট হেনরির তাণ্ডবে। প্রথম ৬ উইকেটের মধ্যে ফকস একাই নেন ৪টি। ব্রুক খেলতে নামেন দলীয় ৫ রানের সময়, আউট হন একেবারে সবার শেষে। তাকে ৪৬ রান করে গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গ দেন জ্যামি ওভারটন। অন্য কেউ দশের ঘরও স্পর্শ করতে পারেননি।
আরপি/টিকে