টানা ৪ এল ক্ল্যাসিকো হারের তিক্ত স্বাদ নিয়ে গত মৌসুম শেষ করেছিল রিয়াল মাদ্রদ। জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে মৌসুমের প্রথম এল ক্ল্যাসিকোতে মাদ্রিদের বিপক্ষে নেমেছিল বার্সেলোনা। তবে টানা পঞ্চম জয় তুলতে পারল না হ্যান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। ম্যাচের শেষে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইতে এক পর্যায় হাতাহাতি হয় দুদলের, সে ম্যাচ কাতালানদের ২-১ গোলে হারাল জাভি আলোনসোর শিষ্যরা।
এল ক্ল্যাসিকোতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে বার্সাকে আতিথ্য দেয় লস ব্লাঙ্কোসরা। মাদ্রিদের হয়ে গোল দুটি করেন কাইলিয়ান এমবাপে এবং জুড বেলিংহ্যাম। কাতালানদের হয়ে এক মাত্র গোলটি করেন ফেরমিন লোপেজ। শেষের উত্তেজনায় লালকার্ড দেখেন পেদ্রি।
ম্যাচের ৩ মিনিটে পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। পরবর্তীতে ভিএআর এর সাহয্যে সেটি বাতিল করেন রেফারি। ১৩ মিনিটে জালের দেখা পায় রিয়াল মাদ্রিদ, কিন্তু এমবাপের করা গোলটি বাতিল হয় অফসাইডের কারণে। একের পর এক আক্রমণের পর ম্যাচের ২২ মিনিটে গোলের দেখা লস ব্লাঙ্কোসরা, দলকে এগিয়ে দেন এমবাপে। পিছিয়ে পড়ে পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকে বার্সা। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে মার্কাস র্যাশফোর্ডের অ্যাসিস্টে লোপেজ গোল করলে সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। বিরতিতে যাওয়ার ২ মিনিট আগে ব্যাবধান বাড়ান বেলিংহ্যাম। এডের মিলিতায়ের পাসে গোল করেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল মাদ্রিদের। পেনাল্টি পায় মাদ্রিদ। স্পট কিকে এমবাপের শট ঠেকিয়ে দেন বার্সা গোলরক্ষক সেজনি। ৫৩ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ হাত ছাড়া করেন লোপেজ, লামিন ইয়ামালের বাড়ানো বলে শট চালালে সেটা ঠেকিয়ে দেন থিবো কোর্ত্তয়া। ম্যাচের যোগ করা সময়ের দশম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পেদ্রি, সে সময় দু দলের খেলোয়াড়দের মধ্যেয় হাতাহাতি হয়। হলুদ কার্ড দেখেন বেঞ্চে বসে থাকা রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। দ্বিতীয়ার্ধে কোন দল জালের দেখা না পেলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে রিয়াল মাদ্রিদ।
৯ ম্যাচে ৮ জয় ও ১ হারে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে শির্ষে রিয়াল মাদ্রিদ। একই সমান ম্যাচ খেলে ৭ জয় ১ হার ও ১ ড্রতে ২২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বার্সেলোনা।
ইএ/টিকে