দীপাবলির আবহে বাজি না পোড়ানোর নিদান দিয়ে নেটপাড়ার রোষানলে মীরা রাজপুত। কালীপুজোর রাতে শব্দবাজির দাপটে বিরক্ত হয়ে প্রশ্ন ছুড়েছিলেন, ‘এখনও কেন বাজি পোড়াচ্ছেন? এটা কিন্তু দিওয়ালির কোনও রীতি নয়।’ দূষণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোয় পরিবেশপ্রেমীদের তরফে প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছিলেন শাহিদপত্নী। তবে দিন কয়েক ধরে তার মাশুলও কম গুনতে হচ্ছে না মীরা রাজপুতকে। ‘দিওয়ালি এলেই কেন আপনাদের পরিবেশপ্রেম বাড়ে?’ এহেন প্রশ্নবাণের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবার নেটভুবনে বেধড়ক ট্রোলড হতে হল শাহিদপত্নীকে!
আইনজীবী আশুতোষ জে দুবে নামে জনৈক নেটিজেন সোশাল মিডিয়ায় মীরাকে ট্যাগ করে প্রকাশ্যেই বিঁধেছেন। অভিনেতার নামোল্লেখ করে সেই পোস্টে লিখেছেন, “মিস্টার শাহিদ কাপুর, দয়া করে নিজের স্ত্রীকে সামলান। প্রতিবার এই এক বাকযুদ্ধ শুরু হয়! আতসবাজি নিষিদ্ধ করাকে এরা ‘উন্নয়ন’ বলে দাবি করে। ফি বছর যারা বাজিপটাকা ফাটায় তাদের নানা উপদেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মনে রাখবেন, দীপাবলি শুধু একটা উৎসব নয়। এটা আমাদের সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য এবং চেতনার উদযাপন। বহু প্রজন্ম ধরে আতসবাজি পোড়ানো দীপাবলি উদযাপনের এক অন্যতম অংশ। যা অশুভর উপর শুভর জয়ের প্রতীক। শুধু তাই নয়, এই আতস পোড়ানোর প্রথা নেতিবাচকতা দূরীকরণের জন্যেই পালিত হয়। তাই বেছে বেছে শুধু দিওয়ালির দিন পরিবেশ দূষণের বার্তা দেওয়া হয় কেন?” এখানেই শেষ নয়!
পোস্টে ওই আইজীবীর সংযোজন, কলকারখানার ধোঁয়া-ধুলো এসব ছেড়ে পরিবেশ দূষণের জন্য শুধু বাজিকে দোষারোপ করলে বছরের বাকি সময় নাগরিক হিসেবে নিজের দায়িত্ব এড়ানো হয়। আমাদের শহরের AQI বাড়ানোর আসল কারণগুলিকে দায়ী না করে কেন শুধু দিওয়ালির রাতটাকে ধরা হবে? শীতাতপনিয়ন্ত্রিত বিলাসবহুল গাড়ি চালিয়ে উপভোগ করার সময়ে তো আপনাদের মনে থাকে না? তাহলে বছরে একবার অন্যদের আনন্দ উপদযাপনের উপর খবরদারি করে সচেতনতার পাঠ দেন কেন? অন্যদের জ্ঞান দেওয়ার আগে নিজে সচেতন হোন।
আপনি পরিবেশবান্ধব সবুজ আতসবাজি ব্যবহারের কথা বলুন কিংবা বাজি পোড়ানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার কথা বলুন, কিন্তু বছরের মাত্র একটা দিন মানুষের প্রচলিত বিশ্বাস এবং সংস্কৃতি উদযাপনে বাধা দিয়ে লজ্জায় ফেলবেন না! দীপাবলি আনন্দের উৎসব। ঐতিহ্য এবং পরিবেশের কথা মাথায় রেখে সকলকে নিজেদের মতো উদযাপন করতে দেওয়া উচিত।” পোস্টের শেষপাতে মীরা রাজপুতকে ‘নিজের ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে সম্মান করার’ পাঠও দেন ওই আইনজীবী। যা কিনা আপাতত নেটপাড়ায় ভাইরাল।
ঠিক কী লিখেছিলেন মীরা রাজপুত যার জন্যে দিন কয়েক ধরে সমালোচিত হতে হচ্ছে তাঁকে? দিওয়ালির রাতে শাহিদপত্নী লেখেন, “কেন এখনও বাজি পোড়াচ্ছেন? আপনারা এখানে বাচ্চাদের খুশির দোহাই দেবেন না। বাজি পোড়ানোকে খুব স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করে দেবেন না। এটা কোনও রীতিও নয় কিন্তু। শিক্ষা-পয়সা সব থাকলেও ন্যূনতম বুদ্ধি নেই আপনাদের, দেখেও খারাপ লাগে।” এহেন পোস্টের জেরেই কটাক্ষের শিকার মীরা।
এসএন