চিকিৎসক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ বলেছেন, ছাত্র উপদেষ্টারা কিছু বিষয় না জেনে বলেন, কিছু বিষয় বেশি বুঝে বলেন। আসিফ মাহমুদ কিছুদিন আগেই বললেন, ভারতের সঙ্গে ১০টি চুক্তি বাতিল হয়েছে। পরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বললেন, এটা ভুল তথ্য দিয়েছেন তিনি। তার থেকে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না, তিনি এরকম একটি কথা বলবেন।
বেসিক্যালি একটি চুক্তি বাতিল হয়েছে, আর বাকি কিছু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সুতরাং এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়, অথচ এইরকম স্টেটমেন্ট তিনি মিডিয়ার সামনে বা ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে করে ফেলেন। ফলে প্রকৃত যে তথ্য সেখান থেকে ডেভিয়েশন হয়ে যায়।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এনসিপির সঙ্গে দুইজন উপদেষ্টার সম্পর্ক নিবিড় কেন হবে? একসঙ্গে মুভমেন্ট ছিল সেটা একটা এবং এরা তাদের প্রতিনিধি হিসেবে ওখানে আছে। তাদের কার্যক্রমও স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে কিভাবে যেন মিলে যায়। দুটো টিভি লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। এই টিভি লাইসেন্স জামায়াত পায়নি, বিএনপির কারো নামে লাইসেন্স হয়নি, নির্দলীয় কোনো ব্যবসায়ীর নামে হয়নি।
যে প্রক্রিয়ায় দেওয়া হয়েছে এটা শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদকালে যেভাবে দেওয়া হতো সেভাবেই দেওয়া হয়েছে।
সাখাওয়াত আরো বলেন, এখন সেটাকে জাস্টিফাই করার জন্য বলছে ফ্যাসিবাদ গোষ্ঠীর হাতে যেরকম সংবাদ মাধ্যমগুলো আছে তার বিপরীত ন্যারেটিভ তৈরি করতে হলে এরকম টিভি আমাদের দিতে হবে। তাহলে সেটা কাকে দিচ্ছেন? একটা পক্ষের দিকে টান আছে বলে দিচ্ছেন। এইখানে হচ্ছে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট।
টিজে/টিকে