প্রায় দেড় দশকের সংসার জীবন, রয়েছে তিন সন্তান, একদা তাঁদের সোশাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যেত সুখী দাম্পত্যের নানা টুকরো মুহূর্ত ভাগ করে নিতে। কথা হচ্ছে হিন্দি টেলিভিশনের পাওয়ার কাপল মাহি ভিজ ও জয় ভানুশালির। বেশ কিছু মাস ধরেই তাঁদের জীবনের সুন্দর মুহূর্ত সোশাল মিডিয়ায় ভাগ করে নেওয়া রীতিমতো বন্ধ। তারপর থেকেই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল বিবাহবিচ্ছেদের। এই নিয়ে যদিও কোনওরকম মন্তব্য করেননি টেলি-দম্পতি। সোমবার তাঁদের ডিভোর্স জল্পনা যে সত্যিই তা জানিয়েছিলেন দম্পতির ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তবে সেসবে জল ঢেলে জয়ের পোস্টে কমেন্ট করলেন মাহি। যা ইতিমধ্যেই নেটিজেনদের নজরে এসেছে।
ডিভোর্সের জল্পনার মাঝেই হঠাৎ দেখা গেল জয়ের সোশাল মিডিয়া পোস্ট। মেয়ে তারার সঙ্গে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জয়। মেয়ের সঙ্গে দুষ্টু-মিষ্টি এই মুহূর্তের ভাগ করে নিয়ে ক্যাপশনে অভিনেতা লিখেছেন, ‘মেয়ে আর বাবা যখন বাড়িতে একা থাকে তখন এমনটা তো হবেই।’ ওই ভিডিওতে তারাকে দেখা যাচ্ছে বাবার সঙ্গে দুষ্টুমি করতে। আর জয়ের সেই ভিডিওতেই মাহি কমেন্ট করেছেন, ‘তারা সবথেকে মিষ্টি’ সঙ্গে রয়েছে হার্ট ইমোজি। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন জেগেছে তাহলে কি মাহি-জয়ের ডিভোর্সের জল্পনা মিথ্যা? তাঁদের মধ্যে কোনওরকম সমস্যা হয়নি?
একসময়ে জয়-মাহির সোশাল মিডিয়ায় উঁকি দিলেই সুখী গৃহকোণের ঝলক মিলত। তবে মাসখানেক ধরে সেসব চুপ! ভ্লগ তো দূরঅস্ত, নিদেনপক্ষে একে-অপরের সঙ্গে কোনও ছবি পর্যন্ত শেয়ার করেননি তাঁরা। নেপথ্যের কারণ কী? কেনই বা সুখের সংসারে ভাঙন ধরল? কৌতূহলের অন্ত নেই! কানাঘুষো, মাহি বিজ নাকি স্বামী জয়কে নিয়ে এতটাই ‘সন্দেহ বাতিকগ্রস্থ’ হয়ে পড়েছিলেন যে অভিনেতা স্ত্রী’র থেকে দূরত্ব বাড়াতে বাধ্য হন। যা কিনা পরবর্তীতে ডিভোর্স পর্যন্ত গড়ায়। দম্পতির ঘনিষ্ঠবৃত্ত বলছে, জয়-মাহি দুজনেই নাকি বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু শত চেষ্টা সত্ত্বেও পরিস্থিতি বদলায়নি। শেষমেশ আলাদা বাড়িতে থাকতে বাধ্য হন জয় ভানুশালি, মাহি ভিজ।
২০১১ সালে ভালোবেসে একে-অপরের সঙ্গে সাতপাকে বাধা পড়েন জয়-মাহি। বছরখানেক চুটিয়ে দাম্পত্য উপভোগ করার পর ২০১৭ সালে রাজবীর-খুশি নামে দুই সন্তান দত্তক নেন তাঁরা।
তার দু বছর বাদে ২০১৯ সালে তাঁদের সংসার আলো করে জন্ম নেয় তারা। তবে ২০২৪ সাল থেকে জয়-মাহির মধ্যে সমস্যা শুরু হয়। এরপরই চলতি বছরের জুলাই-আগস্টে তাঁরা আইনি বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন বলে খবর।
এসএন