জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আর নভেম্বরে গণভোট করে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন দাবি করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।
             
        
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের হিন্দু সম্প্রদায়কে সব রাজনৈতিক দল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করেছে। এখন হিন্দুদের স্লোগান—‘সব মার্কা দেখা শেষ, দাঁড়িপাল্লার বাংলাদেশ।’
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে ডুমুরিয়া স্বাধীনতা চত্বরে জামায়াতে ইসলামীর ডুমুরিয়া উপজেলা সনাতন শাখা আয়োজিত হিন্দু সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ডুমুরিয়া উপজেলা হিন্দু কমিটির সভাপতি কৃষ্ণ নন্দী এবং সঞ্চালনা করেন সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেব প্রসাদ মন্ডল। বক্তব্য দেন প্রমথ গাইন, মো. মোসলেম উদ্দিন, ডা. হরিদাস মন্ডল, কানাই লাল কর্মকার, প্রভাষক প্রশান্ত কুমার মন্ডল, গৌতম কুমার মন্ডল, অধ্যক্ষ সুভাষ সরদার, সুজিৎ কুমার সরকার, অ্যাড. আপোষ সিংহ, গোবিন্দ কুন্ডু, বিপ্লব সরকার, কার্তিক চন্দ্র সরকার, নারায়ন রাহা, বিশ্বনাথ দাস, তন্ময় মন্ডল, নিরঞ্জন রায়, তরুণ কুমার মন্ডল, স্বদেশ হালদার, অ্যাড. সুভাষ চন্দ্র মন্ডল, ডা. সুদীপ্ত কুমার সুন্দর মন্ডল, উজ্জল সাধু, প্রদীপ কুমার সরকার, অনিমেষ মন্ডল, মনোরঞ্জন মন্ডল, গোবিন্দ কুমার বিশ্বাস ও অরুন কুমার আচার্য প্রমুখ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, হিন্দু সম্প্রদায় ও ডুমুরিয়া-ফুলতলা এলাকার উন্নয়নের জন্য ইসলামী সরকার এখন সময়ের দাবি। যারা দাঁড়িপাল্লার উত্থান দেখে ভয় দেখাচ্ছে, হিন্দুরা আর তাদের ভয় পাবে না।
কেউ বাধা দিলে জনগণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, যারা ৫৪ বছর দেশ চালিয়েছে তারা সন্ত্রাস, দখলদারি ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে হিন্দুদের শোষণ করেছে। জামায়াত ক্ষমতায় গেলে এসব নির্মূল করা হবে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়, আমরাও সেই পরিবর্তনের পথেই আছি।
চব্বিশ সালের আন্দোলনে দেড় হাজার শহীদ ও ৪০ হাজার আহতের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা পরিবর্তনের বার্তা দিয়েছে, জাতিও সেই বার্তা দেবে। 
সভাপতির বক্তব্যে কৃষ্ণ নন্দী বলেন, ‘নতুন প্রজন্মের প্রথম ভোট দাঁড়িপাল্লার পক্ষে হোক।’
মতুয়া সংঘের সভাপতি ডা. সুদীপ্ত কুমার সুন্দর মন্ডল বলেন, ‘আমরা আর সংখ্যালঘু পরিচয় চাই না, আমরা সবাই বাংলাদেশি। হিন্দুরা এবার প্রমাণ করবে তারা কোনো একক দলের ভোটব্যাংক নয়।’
সম্মেলনকে ঘিরে ডুমুরিয়ার ১৪ ইউনিয়ন থেকে বাদ্যযন্ত্রসহ রঙিন মিছিল এসে সমাবেশস্থলে যোগ দেয়।
পরে একটি মিছিল বের করা হয়।
আরপি/টিকে