লিটন দাস টি-২০ সিরিজ শুরুর আগেই প্রত্যাশাটা ব্যক্ত করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ যেন তাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে। চ্যালেঞ্জে তো ফেলেছেই, গতকালের জয়ের মধ্যে ড্যারেন স্যামির শিষ্যরা টাইগারদের হোয়াইটওয়াশই করে দিলো। ৩-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে তারা।
বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচে রোমারিও শেফার্ডের হ্যাটট্রিকের পর রোস্টন চেজ ও আকিম অগাস্তের দুই ফিফটিতে ৫ উইকেটে জিতেছে সফরকারী দল। এই হারের পর লিটনের মুখে ফিরে এল সেই ‘চ্যালেঞ্জ’ প্রসঙ্গ। সংবাদ সম্মেলনে দলপতি বলেন, ‘সিরিজ শুরু হওয়ার আগেও বলেছিলাম, ‘‘আমি চাই এখান থেকে একটা টাফ টাইম আসুক।’’ আমার মনে হয় তারা সব জায়গা থেকেই টাফ টাইম দিয়েছে। ভালো বল করেছে, ব্যাটিংও খুব ভালো হয়েছে।’
বাংলাদেশের ১৫১ রানে অলআউট হওয়ার ইনিংসে তানজিদ তামিমের ৮৯ ও সাইফ হাসানের ২৩ বাদে আর কেউ দশের ঘরও ছুঁতে পারেননি। ব্যাটিং ব্যর্থতার এই চিত্র কেবল এই ম্যাচে না, বাংলাদেশের জন্য নিয়মিত ঘটনা। রান করার দিক থেকে বলতে গেলে সবাই অধারাবাহিক। এতে অবশ্য লিটন চিন্তার কিছু দেখছেন না। ‘চিন্তার কোনো বিষয় না। এখানে যারা ক্রিকেট খেলে তারা প্রুভেন। অনেক দিন ধরেই খেলে আসতেছে। মাঝেমধ্যে দুয়েকটা সিরিজ এমন যেতে পারে।’
বাংলাদেশি ব্যাটারদের অধারাবাহিকতার কারণ হিসেবে লিটন বলেছেন বিরতিহীনতার কথা। ‘অলমোস্ট দুই–আড়াই মাস ধরে ক্রিকেট খেলছে, ব্যাক টু ব্যাক। আমার মনে হয় মাঝেমধ্যে বিরতিও গুরুত্বপূর্ণ। এখন একটা বিরতি আছে। এটার পর আবার রিফ্রেশ হয়ে আসতে পারবে। মনে হয় ভালো কিছুই হবে।’
জাকের আলীর গায়ে ফিনিশারের তকমা। এক সময় বড় বড় ছক্কাও মারতে পারতেন তিনি। কিন্তু সম্প্রতি যেন কী হয়ে গেছে তার, রানই করতে পারছেন না। তাকে লিটনের পরামর্শ, ‘কামব্যাকের একটাই অপশন। সাহস রাখা। খুব একটা চিন্তিত না হওয়া। চিন্তা করলে নেগেটিভ চিন্তাটাই বেশি আসবে। পজিটিভ আসবে না। পজিটিভ চিন্তা করতে পারলে খুব ভালো। সব সময় বলব, এরকম স্ট্রাগল করলে নিজেকে সময় দেয়া, যেসব মানুষ সব সময় হেল্প করে তাদের সঙ্গে উঠাবসা করা। আমার মনে হয় সে শিগগির কামব্যাক করবে এবং ভালো মতোই করবে।’
এসএস/টিএ