বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, গণমাধ্যমকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে। একটি অসত্য সংবাদ রাষ্ট্র ও সমাজের মাঝে অনেক বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে পারে। কোনো কিছু ঘটলেই বিএনপির ওপর দায় চাপানো যেন কারো কারো অভ্যাসে পরিণত হয়েছে।
শনিবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবীর রিজভী বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয়। যদি কেউ বিএনপির নাম ব্যবহার করে এসব অপকর্মে করে—তাদের কোনো ছাড় নয়। সমাজবিরোধী কাজে যে-ই জড়িত হবে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকার কেন ব্যবস্থা নিচ্ছে না? বরং সরকারের মাঝে ঢিলেঢালা ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে।
রিজভী আরো বলেন, গত ৩০ অক্টোবর দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকায় ‘রাউজানে র্যাবের অভিযান, বিএনপি কর্মীর বাড়ি থেকে ১১টি বন্দুক, ২৭টি দা-ছুরি উদ্ধার’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়, চট্টগ্রামের রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের এক বিএনপির কর্মীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বন্দুকসহ বিপুল পরিমাণ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করেছে র্যাব। বিএনপির ওই কর্মীর নাম মুহাম্মদ কামাল। কিন্তু প্রথম আলোর ওই প্রতিবেদনে মুহাম্মদ কামাল আসলেই বিএনপির কর্মী কি না তার প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়নি।
শুধু বিএনপির বহিষ্কৃত এক নেতার অনুসারী বলে উল্লেখ করা হয়। সংবাদে জেলা ইউনিয়ন, থানা বা জেলা বিএনপির দায়িত্বশীল কারো বক্তব্য নেওয়া হয়নি।
র্যাবের অভিযানে ওই ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, রাউজানে কিছু সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়েছে। অথচ কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হলো এই অস্ত্রধারীরা বিএনপির লোক! কোনো প্রমাণ ছাড়া এগুলো লেখা দুঃখজনক। এই রাউজানে নানা অভিযোগে অনেক সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এমআর/টিকে