কানাডার পপ সেনসেশন জাস্টিন বিবারের ঝুলিতে এখন ২০০ মিলিয়ন ডলারের সম্পদ। সঙ্গীত, ব্যবসা আর ব্র্যান্ডের সঙ্গে সফল অংশীদারিত্ব—সব মিলিয়ে গড়ে উঠেছে এই বিপুল সম্পদের সাম্রাজ্য।
মাত্র ১৩ বছর বয়সে স্কুটার ব্রনের হাতে আবিষ্কৃত হন বিবার। আর অল্প সময়েই বিশ্বজুড়ে তারকা হয়ে ওঠেন তিনি। ২০০৯ সালে প্রথম ইপি My World প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় তার সাফল্যের যাত্রা। ‘বেবি’, ‘সরি’, ‘পিচেস’সহ অসংখ্য হিট গান তাকে এনে দিয়েছে বিলিয়ন ডলারের আয়। এখন পর্যন্ত তিনি বিক্রি করেছেন ১৫০ মিলিয়নেরও বেশি অ্যালবাম এবং জিতেছেন একাধিক গ্র্যামি পুরস্কার।
তবে ২০২৩ সালে তিনি নিজের গানগুলোর ক্যাটালগ বিক্রি করেন হিপগনসিস কোম্পানির কাছে, ২০০ মিলিয়ন ডলারে। টিএমজির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্থিক সঙ্কটে পড়েই বিবার এই সিদ্ধান্ত নেন। জীবনে উপার্জন করেছেন ৫০০ মিলিয়ন থেকে ১ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু খরচও ছিল সেই অনুপাতে।
বিবারের স্ত্রী হেইলি বিবারও কোনো অংশে কম নন। তার তৈরি কসমেটিক্স ব্র্যান্ড রোড এই বছর ১ বিলিয়ন ডলারে বিক্রি করেছেন কসমেটিক্স কোম্পানি ই.এল.এফ-এর কাছে। ফলে হেইলির ব্যক্তিগত সম্পদ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলারে। দম্পতির সম্মিলিত সম্পদ এখন অর্ধ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি।
সংগীতের পাশাপাশি ব্র্যান্ড প্রোমোশনে সফল ছিলেন জাস্টিন। প্র্যাকটিভ, ওয়ালমার্ট, অ্যাডিডাস ও ক্যালভিন ক্লেইনের মতো বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। নিজের ফ্যাশন লাইন ড্রু হাউস প্রতিষ্ঠা করেছেন, যার পোশাক পরেন টাইলার দ্য ক্রিয়েটর থেকে টিমোথি শ্যালামে পর্যন্ত।
রিয়েল এস্টেটেও বিবারের আগ্রহ কম নয়। ক্যালিফোর্নিয়ার কাসাবাসে ৬.৫ মিলিয়ন ডলারের বাড়ি কিনে ৭.২ মিলিয়নে বিক্রি করেছিলেন খোলে কার্দাশিয়ানের কাছে। পরে বেভারলি হিলসের ৮.৫ মিলিয়ন ডলারের আরেক প্রাসাদ বিক্রি করেন ৮ মিলিয়নে। বর্তমানে তিনি ২৮.৫ মিলিয়ন ডলারের বিলাসবহুল ম্যানশনে থাকেন স্ত্রী হেইলিকে নিয়ে, সঙ্গে কানাডাতেও রয়েছে তার ৫ মিলিয়ন ডলারের একটি বাড়ি।
সব মিলিয়ে জাস্টিন বিবার শুধু গানের জগতে নয়, ব্যবসা আর সম্পদের ক্ষেত্রেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন এক অনন্য আইকন হিসেবে।
এবি/টিকে