সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ভারতের প্রথম শ্রেণির সাবেক ক্রিকেটার রাজেশ বণিক। তিনি ত্রিপুরা রাজ্যের হয়ে রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন। দলটির অধিনায়কও ছিলেন ৪০ বছর বয়সী এই সাবেক ক্রিকেটার।
ইএসপিএনক্রিকইনফো জানিয়েছে, পশ্চিম ত্রিপুরার আনন্দনগরে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় রাজেশ গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। এরপর তাকে আগরতলায় জিবিপি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, কিন্তু বাঁচানো যায়নি। শনিবার ত্রিপুরা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (টিসিএ) একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ভারতীয় দলের হয়ে অনূর্ধ্ব- ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছিলেন রাজেশ। ২০০১-২০০২ মৌসুমে রঞ্জি ট্রফিতে অভিষেক হয় তার। ১৯৮৪ সালে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটার ত্রিপুরার হয়ে মোট ৪২টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন। এ ছাড়া তিনি ২৪টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ ও ১৮টি টি-টোয়েন্টিও খেলেছেন। পরে রাজ্যের অনূর্ধ্ব-১৬ দলের নির্বাচক হিসেবেও কাজ করেছেন।
২০০০ সালে কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল অনূর্ধ্ব-১৫ টুর্নামেন্টে তিনি ভারত অনূর্ধ্ব-১৫ দলের হয়ে খেলেছেন। সেই সময় তাঁর সতীর্থ ছিলেন ভারতের হয়ে খেলা ইরফান পাঠান ও আম্বাতি রাইডু। একই বছর ভারতের অনূর্ধ্ব-১৫ দলের ইংল্যান্ড সফরেও তাঁরা সতীর্থ ছিলেন। তিনি বিজয় মার্চেন্ট ট্রফি, বিজয় হাজারে ট্রফি, সিকে নাইডু ট্রফি, কোচ বিহার ট্রফি সহ বিভিন্ন বয়স-ভিত্তিক টুর্নামেন্টে ত্রিপুরার প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
রাজেশ বণিকের মৃত্যুতে শনিবার আগরতলায় টিসিএ এর সদর দপ্তরেও এই সাবেক ক্রিকেটারকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ত্রিপুরা ক্রিকেট সংস্থার সচিব সুব্রত দে ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা একজন প্রতিভাবান ক্রিকেটার এবং অনূর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের নির্বাচককে হারালাম। আমরা গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি।’
ত্রিপুরা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের সম্পাদক অনির্বাণ দেব বলেন, ‘তাঁর তরুণ প্রতিভা নির্বাচন করার ক্ষমতার কথা খুব বেশি মানুষ জানে না। সেই কারণেই তাঁকে অনূর্ধ্ব-১৬ রাজ্য দলের অন্যতম নির্বাচক করা হয়েছিল।’
রাজেশ নানাভাবে ত্রিপুরার ক্রিকেটে অবদান রেখেছেন। তার মৃত্যুতে আগরতলায় বাংলার বিপক্ষে রঞ্জি ট্রফির ম্যাচে হাতে কালো ফিতা পরে খেলছে ত্রিপুরা দলের ক্রিকেটাররা।
এবি/টিকে