একই মঞ্চে অনুষ্ঠানের আগে বিরাট বিবাদ দুই গায়িকার! শনিবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিজয়গর উদয়চক্রে অনুষ্ঠান ছিল জোজো মুখোপাধ্যায় ও পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায়ের। অনুষ্ঠান শেষে রাত একটার দিকে ফেসবুকে লাইভে আসেন জোজো। অনুষ্ঠান শুরুর আগের পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার হন তিনি। জোজো জানান, তার কিংবা তাদের মিউজিশিয়ানদের অনুমতি ছাড়া তাদের বাদ্যযন্ত্র সরিয়ে নিজেদের বাদ্যযন্ত্র স্টেজে রেখেছিলেন পৌষালী।
ঘটনায় খুবই রেগে যান জোজো। লাইভে এসে পুরো বিষয়টি নিয়ে কথাও বলেন। জোজো বলেন, ‘একজন সিনিয়র আর্টিস্ট হিসেবে এটুকু বলার অধিকার তো আমার আছেই। কারো অনুমতি ছাড়া তার জিনিসে হাত দেওয়া একেবারেই উচিত নয়।
আমি সচরাচর রেগে যাই না। তবে এই ঘটনায় রেগে গিয়ে অনুষ্ঠান করব না ঠিক করেছিলাম। কিন্তু যারা অরগানাইজার ছিলেন, যারা দর্শক ছিলেন, তাদের কথা চিন্তা করেই প্রোগ্রাম করি। এই ঘটনাটা একজন আর্টিস্টের কাছে খুবই অপমানজনক।’
অন্যদিকে, রবিবার সকালে পৌষালীও লাইভে আসেন। জোজোর লাইভে বলা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন তিনি। পৌষালী জানান, ইন্সট্রুমেন্ট চেক করার জন্য একটু সময় লাগেই। জোজোর টিমের সময় ছিল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা। কিন্তু তারা এসে পৌঁছান সাড়ে চারটার সময়।
একটু দেরি হওয়ায় পৌষালীর টিম অপেক্ষা করে। কিন্তু জোজোর টিম চলে যাওয়ার পর তারা ইন্সট্রুমেন্ট চেক করতে গিয়ে দেখেন জায়গার অভাব। তাই জোজোর টিমের একজনকে ডেকে তারা ইন্সট্রুমেন্ট সরানোর জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু রাজি হন না জোজোর টিম। এরপর পৌষালীর টিম নাকি কমিটির সঙ্গে কথা বলে ইন্সট্রুমেন্ট সরিয়ে নিজেদের জায়গা করে নেন।
পৌষালী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি জুনিয়র আর্টিস্ট হিসেবেই বলছি, জোজোদি পুরো বিষয়টি না জেনে এরকম বলেছেন। পুরো স্টেজজুড়ে ওদের ইন্সট্রুমেন্ট ছিল বলে আমরা দাঁড়ানোর জায়গাটুকু পাইনি। ওদের টিমকে জানানোর পরে ওরা খুব খারাপভাবে কোনো সহযোগিতা করবেন না বলে জানান। অগত্যা কমিটির সঙ্গে কথা বলে আমরা ওদের ইন্সট্রুমেন্ট মাত্র দু’ফুট সরাই। জোজোদি সিনিয়র আর্টিস্ট এরকম তো হয় সেটা তিনি জানেন। এর জন্য এভাবে রিয়্যাক্ট করার কিন্তু কোনো মানে নেই।’
পৌষালী আরো বলেন, ‘আমি স্বভাবত রাগি না। তবে এক্ষেত্রে আমার বা আমার টিমের কোনও ভুল নেই। তাই আমি নিজে থেকে জোজোদির সঙ্গে সবটা মেটাতে যাব না। পরিস্থিতি আর সময়ের উপরেই ছাড়ব সবটা।’
অন্যদিকে, পৌষালীর লাইভ শুনে জোজো মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘এই বিষয়ে কোনও কথাই আর বলতে চাই না। একটাই কথা বলব, পৌষালী ডাহা মিথ্যা কথা বলছে। নিজেকে প্রফেশনাল আর্টিস্ট হিসেবে দাবি করছে যখন, তখন কোথায় তার প্রফেশনালিজম?’
আরপি/এসএন