বাংলা চলচ্চিত্রে সালমান শাহ মানেই এক ইতিহাস, এক অনুভবের নাম। কিন্তু সেই সালমানের মৃত্যুর পর তার প্রিয় বন্ধু হিসেবে পরিচিত অভিনেতা ডনের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় এসেছে ডনের এক পুরনো বক্তব্য। সেখানে তিনি নিজেই জানান, সালমানের মৃত্যুর খবর তিনি পান ৬ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার দিকে, তখন তিনি ছিলেন বগুড়ায়। কিন্তু খবর জানার পরও সঙ্গে সঙ্গে তিনি ঢাকায় আসেননি। তার ভাষ্যমতে, সেদিন বগুড়ায় শ্রমিক ধর্মঘট ছিল, দুরপাল্লার বাস চলেনি— তাই তিনি রাজধানীতে আসার প্রয়োজন বোধ করেননি।
এই ব্যাখ্যা নিয়েই শুরু হয়েছে তীব্র সমালোচনা। অনেকে বলছেন, বন্ধুত্বের প্রকৃত মূল্যবোধ কি এতটাই ঠান্ডা হতে পারে? প্রাণের বন্ধুর মৃত্যুর সংবাদ পেয়েও তিনদিন পরে উপস্থিত হওয়া— এটা কি সত্যিকারের বন্ধুত্বের উদাহরণ?
ডন আগেও বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে সালমান শাহকে তার ‘প্রাণের বন্ধু’ বলে উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে তার এই বক্তব্যে অনেকেই হতবাক। কেউ কেউ মনে করছেন, সালমানকে ঘিরে ডনের নানা মন্তব্য তার প্রতি শ্রদ্ধা নয়, বরং বিতর্ক টানার চেষ্টা।
সালমান শাহর মৃত্যুকে ঘিরে আজও রহস্য, বিতর্ক আর আবেগের মিশেল। সেই জায়গায় তার ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের আচরণ নিয়ে মানুষের সংবেদনশীলতা আরও বেড়ে যায়। আর তাই ডনের এই বক্তব্য আবারও ফিরিয়ে এনেছে পুরনো প্রশ্ন— সালমানের জীবনে আসলেই কে ছিল প্রকৃত বন্ধু?
এসএন