এমন ভুল কেন করে বসলেন অ্যাস্টন ভিলার আর্জেন্টাইন গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ? এর ব্যাখ্যা হয়তো আপনি খুঁজে পাবেন না। তবে অ্যানফিল্ডে মোহামেদ সালাহকে খালি পোস্টে গোল করার সুযোগ করে দিয়ে এতটুকুও অনুতপ্ত নন বিশ্বকাপজয়ী এই গোলরক্ষক। তার কথা, ‘আমি হারি না। আমি হয় জিতি, নয় শিখি।’
শনিবার (১ নভেম্বর) লিভারপুলের বিপক্ষে অ্যাস্টন ভিলার হারের দায় অনেকটাই মার্টিনেজের ওপরেই বর্তায়। নিজেদের পোস্টে নিজেই বিপদ ডেকে এনেছিলেন এই গোলরক্ষক। মূলত তার অমনোযোগের কারণেই গোল হজম করতে হয় অ্যাস্টন ভিলাকে।
গোলশূন্য অবস্থাতেই প্রথমার্ধের বিরতিতে যেতে পারতো দুই দল। তবে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে বিপদ ডেকে আনেন মার্টিনেজ। পাউ তোরেস ব্যাকপাস দিয়েছিলেন এমিকে। যথেষ্ট সময় পেয়েছিলেন মার্টিনেজ, চাইলেই ফের তোরেসকে বল দিতে পারতেন তিনি। কিংবা লম্বা কিকও নিতে পারতেন। কিন্তু তিনি এমন জায়গায় বল বাড়ালেন, যেখানে বল পেয়ে গেলেন মোহামেদ সালাহ। সুযোগ বুঝে তিনিও বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চাপ তৈরি করে খেলতে থাকে লিভারপুল। রায়ান গ্রাভেনবার্চ দারুণ এক শট নিলেন। তার দিক বদলে যাওয়া শটে ভুল দিকে ঝাঁপ দিলেন মার্টিনেজ। আর তাতেই ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় অ্যাস্টন ভিলা।
গোলরক্ষকের ওই ভুলে ম্যাচ শেষে কোচ উনাই এমেরি বেশ বিরক্ত ছিলেন। বার্মিংহাম লাইভকে তিনি বলেন, ‘পাউ তখন ঠিক জায়গায় ছিল, পাস নেওয়ার জন্য প্রস্তুতও ছিল। কিন্তু আজ (কাল) ভুল হয়েছে। পরের ম্যাচগুলোয় এই ভুলগুলো থেকে শিখে আরও শক্ত দল হয়ে ফিরতে হবে।’
এমেরি আরও বলেন, ‘আমাদের এমন বড় ভুল এড়িয়ে চলতে হবে। প্রথম গোলটাই খেলায় পার্থক্য গড়ে দিয়েছে।’
মার্টিনেজকে অবশ্য কোচের মতো বিনয়ী মনে হয়নি। ইনস্টাগ্রামে নিজের দুটি সাদা-কালো ছবি দিয়ে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘আমি হারি না। আমি হয় জিতি, নয় শিখি।’
গুঞ্জন ছিল, এই গ্রীষ্মেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যেতে চেয়েছিলেন মার্টিনেজ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেড তাকে না নিয়ে দলে নেয় বেলজিয়ামের তরুণ গোলরক্ষক সেনে লামেন্সকে। যে কারণে বার্মিংহামেই থেকে যেতে হয় আর্জেন্টাইন এই গোলরক্ষককে।
এমআর/এসএন