নাভি মুম্বইয়ে এক অনিন্দ্যসুন্দর সন্ধ্যা। বছরের পর বছর অপেক্ষার পর অবশেষে এল সেই কাঙ্ক্ষিত মুহূর্ত। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো নারী বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বে এই জয় যেন এক যুগান্তকারী অধ্যায় ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে।
ফাইনালের আগ পর্যন্ত ছিল চাপ, সংশয়, আর অতীতের ব্যর্থতার ছায়া। ২০০৫ এবং ২০১৭ সালের মতো ইতিহাস কি আবারও ফিরে আসবে এই প্রশ্নই তাড়া করছিল গোটা দলকে। কিন্তু এবার দৃঢ় সংকল্পে, দলগত লড়াইয়ে ও অনমনীয় মানসিকতায় সব বাধা পেরিয়ে জয় তুলে নিয়েছে ভারতের মেয়েরা।
এই ঐতিহাসিক জয়ের পর আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। রাস্তা থেকে রাজপথ, পাহাড় থেকে উপকূল সবখানেই উৎসবের আমেজ। ’৮৩-র বিশ্বজয়ী দলের সদস্য সুনীল গাভাসকরও উচ্ছ্বসিত এই জয় নিয়ে। তাঁর ভাষায়, “অসাধারণ একটা জয়। বছরের পর বছর আমাদের মেয়েরা পরিশ্রম করেছে। এত চাপের মধ্যেও তারা নিজেদের প্রমাণ করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকা কঠিন প্রতিপক্ষ ছিল, কিন্তু ফাইনালে আমরা দুর্দান্ত জবাব দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “বহু যুগে একবার এমন জয় আসে। ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসে এটি অন্যতম সেরা অর্জন। সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়া আর ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারানো সহজ ব্যাপার নয়। কিছু ক্যাচ মিস হলেও জয়টা নিখুঁত ছিল। এই জয়ের মাহাত্ম্য অনেক বড়।”
স্বপ্নপূরণের এই ট্রফি নিয়ে ঘুমিয়েছে জেমাইমারা, আর দেশজুড়ে ভেসে এসেছে বার্তা এ শুধু ট্রফি নয়, এটি নারী শক্তির প্রতীক। শেফালি ভার্মা ঈশ্বর ও শচীন তেন্ডুলকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, “এই জয় আমাদের সবার।”
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ভারতের মেয়েদের হাতে উঠে এসেছে সেই কাঙ্ক্ষিত স্বর্ণখচিত ট্রফি। চোখে জল, মুখে হাসি আজ ভারতের প্রতিটি ঘরেই প্রতিধ্বনি একটাই, “আমরাও পারি।”
এসএস/টিএ