মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে মিলিতভাবে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতে পারেন। বুধবার (০৫ নভেম্বর) মায়ামির আমেরিকান বিজনেস ফোরামে তিনি এ কথা বলেন।
গত সপ্তাহে তিনি প্রতিরক্ষা বিভাগকে পারমাণবিক পরীক্ষা প্রস্তুতি শুরু করার নির্দেশ দেন। তিনি দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্র একমাত্র দেশ যারা পরীক্ষা করে না। এর জবাবে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আন্দ্রে বেলুসভ পূর্ণমাত্রার পারমাণবিক পরীক্ষা প্রস্তুতি শুরুর প্রস্তাব দেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পুনরায় বলেন, রাশিয়া দীর্ঘদিন ধরে সার্বিক পারমাণবিক পরীক্ষা নিষিদ্ধ চুক্তি মেনে চলেছে; তক্ষণ না অন্য সদস্য দেশগুলো তা লঙ্ঘন করে।
ট্রাম্প বলেন, “আমরা আমাদের পারমাণবিক শক্তি নতুনভাবে সাজিয়েছি। আমরা এখন বিশ্বের নাম্বার ওয়ান পারমাণবিক শক্তিধর দেশ, যা স্বীকার করতে আমার খারাপ লাগে, কারণ এটি ভয়াবহ। ” তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়া দ্বিতীয়, চীন অনেক পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে, তবে তারা চার-পাঁচ বছরের মধ্যে আমাদের ধরে ফেলবে।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, “আমরা হয়তো তিন দেশ মিলে নিরস্ত্রীকরণের একটি পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। দেখি এটা কার্যকর হয় কিনা।”
ট্রাম্প রাশিয়া ও চীনকে “গোপনে” পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর অভিযোগ করেছেন, যদিও মস্কো ও বেইজিং উভয়েই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার ( আইএইএ) প্রধান রাফায়েল গ্রোসিও বলেছেন, সংস্থাটির কাছে কোনো প্রমাণ নেই যে, এই দুই দেশ পারমাণবিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
ট্রাম্পের মন্তব্যের পর ক্রেমলিন মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, মস্কো এখনো মার্কিন পক্ষের কাছ থেকে প্রেসিডেন্টের বক্তব্যের “সম্পূর্ণ তাৎপর্য” সম্পর্কে আরও ব্যাখ্যা প্রত্যাশা করছে।
এমকে/এসএন