একটা সময় হার্টের সমস্যাকে ধরা হতো বয়স্কদের অসুখ। কিন্তু সেই ধারণা এখন অতীত। বর্তমানে কম বয়সেও অনেকে হার্টের অসুখের আক্রান্ত হচ্ছেন। এমনকি হারাচ্ছেন প্রাণও।
তাই হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। এর পাশাপাশি লবণ নিয়েও সাবধান হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ, এটি হার্টের জন্য বিষের সমান।
তবে জীবন থেকে একবারে লবণকে বের করে দেওয়া তো সহজ কথা নয়।
তাই লবণ এমনভাবে খেতে হবে, যাতে হার্টের ক্ষতি না হয়। আর এই বিষয়টি নিয়েই আজকের প্রতিবেদন। চলুন, জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত—
লবণ কিভাবে হার্টের ক্ষতি করে
এই প্রসঙ্গে চিকিৎসকরা বলেন, লবণে রয়েছে সোডিয়াম। আর এটি শরীরে পানি ধরে রাখতে পারে।
যার ফলে বেড়ে যায় ব্লাড প্রেশার। আর বিপি বাড়লে যে হার্টের ক্ষতি হতে পারে, এই কথা তো বলাই বাহুল্য! তাই লবণ খেতে হবে মেপে। নয়তো হার্টের বারোটা বাজতে সময় লাগবে না!
কতটা লবণ খেলে হার্ট সুস্থ থাকবে
এই প্রশ্নের উত্তরে চিকিৎসকরা বলেন, এক্ষেত্রে কোনো সুস্থ মানুষ দিনে ২২০০ এমজি পর্যন্ত সোডিয়াম গ্রহণ করতে পারেন। আর এই পরিমাণ সোডিয়াম মোটামুটি ৪ থেকে ৫ গ্রাম লবণে থাকে। তাই হার্টকে সুস্থ রাখতে চাইলে দিনে এর থেকে বেশি লবণ খাওয়া যাবে না।
তবে যাদের হার্টের অসুখ ইতিমধ্যেই রয়েছে, তারা দিনে ১৫০০ এমজি সোডিয়াম পর্যন্ত খেতে পারবেন। এক্ষেত্রে লবণের হিসেবে ওই ২ থেকে ৩ গ্রামের মতো।
এভাবে লবণ মাপা যায়?
না, ৩-৪ গ্রাম লবণ মাপা সত্যিই সম্ভব নয়। তাই এই সমস্যা সমাধানে একটা টেকনিক জানালেন চিকিৎসকরা। তারা বলেন, রান্নায় এক চিমটির বেশি লবণ দেবেন না। আর কাঁচা লবণ খাবেন না। ব্যাস, তাহলেই আর চিন্তা নেই। হার্ট সুস্থ থাকবে। প্রেশার থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
চিকিৎসকরা মনে করিয়ে দিয়েছেন, আমাদের পরিচিত কিছু খাবারে মাত্রাতিরিক্ত লবণ রয়েছে। আর সেগুলো হলো, ফাস্ট ফুড, প্রসেসড ফুড, চিপস, সস ইত্যাদি। তাই এগুলো ছাড়তে হবে।
তার পরিবর্তে শাক-সবজি এবং ফল বেশি করে খেতে বললেন চিকিৎসক। তাতেই সুস্থ থাকতে পারবেন।
এ ছাড়া হার্টের স্বাস্থ্য ফেরাতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। দিনে ৩০ মিনিট এক্সারসাইজ হলো মাস্ট।
এমকে/এসএন