রান্না কেবল রান্নাঘরেই আর সীমাবদ্ধ নেই, এটি এখন একটি শিল্প। দেশ-বিদেশের রন্ধনশিল্পীরা রান্নাকে পেশা বানিয়ে কোটি কোটি টাকা আয় করছেন এবং গ্ল্যামার জগতে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন। ভারতে এই পেশা কতটা লাভজনক হতে পারে, তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন বেশ কয়েকজন তারকা শেফ।

![]()
ভারতের সবচেয়ে ধনী এবং জনপ্রিয় কয়েকজন রন্ধনশিল্পীর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও আয়ের হিসাব দেখে নেওয়া যাক-
সঞ্জীব কাপুর
ভারতীয় রন্ধনশিল্পীদের মধ্যে তিনি অন্যতম পরিচিত মুখ। তার ‘খানা খাজানা’ টেলিভিশন শোটি প্রায় ১৮ বছর ধরে চলেছে এবং ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। ১৯৮৪ সালে কর্মজীবন শুরু করে ১৯৯২ সালে মুম্বাইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেলের প্রধান শেফ হন।তিনি ১৫০টিরও বেশি রান্নার বই লিখেছেন। তার ‘ইয়ালো চিলি’ ব্র্যান্ডের অধীনে দেশ-বিদেশে একাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। পাশাপাশি, রান্নার সরঞ্জাম ও বাসনপত্রের ব্যবসাও তার রয়েছে।তার সম্পত্তির পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রা প্রায় ১১৬৫ কোটি টাকা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি মাসে ৫০ কোটি টাকারও বেশি আয় করেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৭০ কোটি টাকার কাছাকাছি।
বিকাশ খান্না
তিনি বিশ্বের হাতেগোনা কয়েকজন ভারতীয় শেফের মধ্যে একজন, যিনি রন্ধনজগতের সম্মানজনক ‘মিশেলিন স্টার’ অর্জন করেছেন। পাঞ্জাবের অমৃতসর থেকে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে তার ‘বাংলো’ নামের একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৮০-১২০ কোটি টাকা।
কুণাল কাপুর
টেলিভিশন এবং সামাজিক মাধ্যমে তিনি বেশ পরিচিত মুখ। বিভিন্ন রান্নার শোয়ে সঞ্চালক ও বিচারক হিসাবে তাঁকে দেখা যায়। ২০০২ সালে বিলাসবহুল রেস্তোরাঁয় কাজ শুরু করেন। বর্তমানে তার ‘কোয়ার্টার প্লেট’ এবং ‘পিনকোড’ নামে রেস্তোরাঁ চেন রয়েছে।ইউটিউব, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম থেকেও তিনি উল্লেখযোগ্য আয় করেন। তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪৫ কোটি টাকা।
রণবীর ব্রার
উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলে হয়েও রন্ধনশিল্পে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন। ১৭ বছর বয়স থেকেই তিনি এই কাজ শুরু করেন।পড়াশোনা শেষে বিলাসবহুল হোটেলে চাকরি এবং বিদেশে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। বর্তমানে ভারত ও দুবাইয়ে তার একাধিক রেস্তোরাঁ রয়েছে। তার সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪০ কোটি টাকা।
সূত্র : আনন্দবাজার।
আরপি/ টিকে