সাম্প্রতিক সময়ের চোট সমস্যা সত্ত্বেও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের জন্য স্পেন দলে রাখা হয়েছে লামিনে ইয়ামালকে। লুইস দে লা ফুয়েন্তের মতে, এই মুহূর্তে ‘নিখুঁত অবস্থায়’ আছেন বার্সেলোনা তারকা। তরুণ এই উইঙ্গারকে তাড়াহুড়া করে ফেরানো হয়নি বলেই মনে করছেন স্পেন কোচ।
এই মাসে জর্জিয়া ও তুরস্কের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য শুক্রবার ২৬ জনের দল ঘোষণা করেছেন দে লা ফুয়েন্তে। চার বছর পর দলে ফিরেছেন পাবলো ফোরনালস। রেয়াল বেতিসের ২৯ বছর বয়সী এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার জাতীয় দলের হয়ে ৬ ম্যাচের সবশেষটি খেলেছেন ২০২১ সালে।
ফিরেছেন ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্তও। গত মাসের দুই ম্যাচের মতো এবারও দলে জায়গা পাননি অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড আলভারো মোরাতা। চোটের কারণে নেই উইঙ্গার নিকো উইলিয়ামস।
ইয়ামাল ও ফোরনালসের ফেরাটাই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য খবর। দীর্ঘস্থায়ী কুঁচকির চোট কয়েক সপ্তাহ ভোগানোর পর ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছেন ইয়ামাল। গত রোববার লা লিগায় এলচের জালে বল পাঠানোর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে চমৎকার একটি গোল করেন তিনি।
ওই চোটে গত মাসে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে জর্জিয়া ও বুলগেরিয়ার বিপক্ষে তিনি খেলতে পারেননি। প্রথমে যদিও তাকে নিয়েই দল ঘোষণা করেছিলেন স্পেন কোচ। এর কয়েক ঘণ্টা পর তার চোটের কথা জানায় বার্সেলোনা।
ইয়ামালের চোট নিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে তার ক্লাব ও জাতীয় দলের মধ্যে টানাপোড়েনও কম হয়নি। গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বুলগেরিয়া ও তুরস্কের বিপক্ষে তাকে ৭৯ ও ৭৩ মিনিট খেলানোর সমালোচনা করেছিলেন বার্সেলোনা কোচ হান্সি ফ্লিক। স্পেন দল ঠিকমতো তার যত্ন নেয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি। সেই অভিযোগ উড়িয়ে দেন স্পেন কোচ।
আসছে দুই ম্যাচের দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে লুইস দে লা ফুয়েন্তে বললেন, খেলার জন্য এখন খুব ভালো অবস্থায় আছেন ১৮ বছর বয়সী ইয়ামাল।
“তার সবশেষ ম্যাচটি দেখেছি এবং আমি বিশ্বাস করি, সে নিখুঁত অবস্থায় আছে। তার কোচ বলেছে, সে খেলার জন্য প্রস্তুত। সে সবসময় যেমন থাকে, তেমন খেলোয়াড় হিসেবেই ফিরে এসেছে, আমরা তা উদযাপন করছি। যতক্ষণ আমরা উপযুক্ত মনে করি, ততক্ষণ সে আমাদের সঙ্গে থাকবে।”
“আমাদের খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ আছে এবং আমাদের সেরা খেলোয়াড়দের মাঠে নামাতে হবে। বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনের জন্য আমাদের সামনে খুব গুরুত্বপূর্ণ দুটি ম্যাচ এবং আমরা সেরা খেলোয়াড়দের আমাদের সঙ্গে রাখতে চাই।”
ঘরের মাঠে আগামী ১৫ নভেম্বর জর্জিয়া ও এর তিন দিন পর তুরস্কের মুখোমুখি হবে ২০১০ সালের বিশ্বকাপ জয়ীরা।
ইউরোপ অঞ্চলের বাছাইয়ে চার ম্যাচের সবকটি জিতে ১২ পয়েন্ট নিয়ে ‘ই’ গ্রুপের শীর্ষে আছে স্পেন। তুরস্ক ৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে। ৩ পয়েন্ট নিয়ে তিনে জর্জিয়া। বুলগেরিয়া এখনও পয়েন্ট পায়নি।
গ্রুপের শীর্ষ দল সরাসরি পাবে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকেট। রানার্সআপকে খেলতে হবে প্লে-অফে।
এমআর/টিকে