দুবাইয়ে শুক্রবার আয়োজিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) বোর্ড মিটিংয়ে নারীদের বিশ্বকাপ সম্প্রসারণ, অলিম্পিক পরিকল্পনা ও মিতালি রাজকে আইসিসি উইমেন’স ক্রিকেট কমিটিতে নিয়োগসহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে আনুষ্ঠানিক আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক বৈঠকের অন্যতম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়।
২০২৫ সালের এশিয়া কাপ ভারতের হাতে ওঠার পরও এখনো তারা ট্রফিটি পায়নি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) প্রধান ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি ট্রফিটি নিয়ে যান।
কারণ ম্যাচ শেষে ভারতীয় ক্রিকেটাররা নাকভির হাত থেকে ট্রফি ও পদক নিতে অস্বীকার করেন।
আইসিসি বোর্ড মিটিংয়ে বিসিসিআই বিষয়টি তুললে সব সদস্যই বলেন, ভারত ও পাকিস্তান বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং সমস্যাগুলো শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে হবে। বোর্ড সদস্যরা মনে করেন, ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই দুই দেশের মধ্যে যেকোনো সমস্যা দ্রুত বন্ধুত্বপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত।
আলোচনার পর এশিয়া কাপ ট্রফি বিতর্ক নিরসনে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা দ্রুতই বিষয়টির সমাধান করে ভারতের হাতে ট্রফি পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব নেবে।
এদিকে আইসিসি আরও ঘোষণা করেছে যে ২০২৯ সালের নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ ৮ দলের বদলে ১০ দল নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে। ২ নভেম্বর নাবি মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে ভারত প্রথমবার নারীদের গ্লোবাল ট্রফি জেতে। টুর্নামেন্ট জুড়ে প্রায় তিন লাখ দর্শক স্টেডিয়ামে উপস্থিত ছিলেন, যা নারীদের ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
আইসিসি জানায়, টুর্নামেন্টের দর্শক সংখ্যা, টিভি ভিউয়ারশিপ এবং সামগ্রিক আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় বিশ্বকাপ সম্প্রসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু ভারতেই প্রায় ৫০ কোটি দর্শক এই আসরটি টিভি বা অনলাইনে দেখেছেন।
টিএম/টিএ