বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক জাহানারা আলম যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। যা পুরো ক্রীড়াঙ্গনে আলোচনার ঝড় তুলেছে। ক্রিকেটের পর এবার শুটিংয়েও নিপীড়ন তদন্তের দাবি জোরালোভাবে উঠেছে।
ক্রীড়াঙ্গনের অন্যতম প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর সাবেক শুটার ও কোচ শারমিন আক্তার রত্না। তিনি বলেন, 'জাহানারার অভিযোগের পর এখন বিসিবি এবং উপদেষ্টা তদন্তের কথা বলেছেন। ফলে আমাদের শুটিংয়ের বিষয়টিও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। শুটিং ফেডারেশনের নতুন কমিটি হওয়ার আগেই আমরা কয়েকজন শুটার জিএম হায়দার সাজ্জাদকে নিয়ে চিঠি দিয়েছিলাম। তার ওপর নারী সংক্রান্ত অনেক অভিযোগই ছিল। এজন্য তাকে শুটিং ফেডারেশনের কমিটিতে না রাখার দাবি জানানো হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল তিনি কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হয়েছেন।'
ক্রীড়া উপদেষ্টা বরাবর জিএম হায়দার সাজ্জাদকে নিয়ে বেশ গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন শুটাররা। সেখানে তারা উল্লেখ করেন, 'অতীতে উল্লেখিত ব্যক্তি আমাদের বিভিন্ন নারী শুটারদের সাথে অনৈতিক আচরণ করার চেষ্টা করেছেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারী শুটাররা তার অনৈতিক আচরণ ও অশ্লীল কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সেই চিঠিতে শুটারদের পক্ষে রত্না স্বাক্ষর করেন। তবে সেই চিঠি মন্ত্রণালয় বা এনএসসি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে এ রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি।'
বাংলাদেশের অন্যতম নারী কিংবদন্তী শুটার সাবরিনা সুলতানা। তিনি বিষয়টির তদন্ত চেয়ে বলেন, 'যেহেতু একটা স্পর্শকাতর বিষয়ে শুটাররা অভিযোগ করেছেন। ফলে এটা অবশ্যই শুটিং এবং ক্রীড়াঙ্গনের স্বার্থে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।'
অতীতে উল্লেখিত ব্যক্তি আমাদের বিভিন্ন নারী শুটারদের সাথে অনৈতিক আচরণ করার চেষ্টা করেছেন এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নারী শুটাররা তার অনৈতিক আচরণ ও অশ্লীল কর্মকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সেই চিঠিতে শুটারদের পক্ষে রত্না স্বাক্ষর করেন। তবে সেই চিঠি মন্ত্রণালয় বা এনএসসি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেছে এ রকম প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
এসএস/টিএ