‘আরবাজকে ঘেন্না করেন সালমান…’, গত অক্টোবরেই এক সাক্ষাৎকারে বোমাটা ফাটিয়েছিলেন ‘দাবাং’ পরিচালক অভিনব কাশ্যপ। ২০১০ সালে ব্লকবাস্টার সিনেমা মুক্তির আগে নাকি মারাত্মক ঝগড়ায় জড়িয়েছিলেন দুই ভাই। পরিচালকের দাবি, ‘দাবাং’ সিনেমা থেকে আরবাজের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছেঁটে ফেলে দেন সালমান। আর তাতেই নাকি সেটে প্রকাশ্যে বাকবিতণ্ডায় জড়ান তাঁরা। পরিচালকই জানান, ‘তারকা ভ্রাতৃদ্বয়ে’র মধ্যে নাকি মতভেদও প্রচুর! এবার নিজের সিনেমার প্রচারে দাদা সালমান খানের নাম শুনেই সাংবাদিককে এক ধমকে চুপ করালেন আরবাজ খান! অতীতের রাগ কি আজও পুষে রেখেছেন তিনি? কৌতূহল সর্বত্র।
সম্প্রতি ‘কাল ত্রিঘোরী’ সিনেমার ট্রেলার লঞ্চে মুম্বইতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন আরবাজ খান। সেখানেই সালমান খানকে নিয়ে প্রশ্ন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন জনৈক সাংবাদিক। নিজের ছবির প্রচারে এসে ভাইজানের নাম শুনেই মেজাজ হারান আরবাজ। সপাটে ওই সাংবাদিককে প্রশ্ন ছোড়েন, “সালমান খান কিংবা খান পরিবারের নাম নেওয়ার খুব দরকার ছিল কি? ওদের প্রসঙ্গ উত্থাপন না করেও তো এই প্রশ্নটা করা যেত।”
এখানেই থামেননি তিনি! সাংবাদিককে ‘তুই-তোকারি’ সম্বোধন করে আরবাজ বলেন, “তোকে আমি অনেক আগে থেকে চিনি। এরকম কোনও প্রশ্ন না করলে তোর পেটের ভাতই হজম হয় না! তুই অপেক্ষা করিস, সবার সব প্রশ্ন কখন শেষ হবে, আর তুই কখন এরকম উদ্ভট প্রশ্ন ছুড়বি?” এরপরই ওই সাংবাদিককে আবারও প্রশ্ন করার সুযোগ দেন আরবাজ। তখনই অভিনেতা-প্রযোজকের উদ্দেশে প্রশ্ন যায়, ‘আমরা সকলে সালমানের ‘কিসসা’জানি…।’
মুখের কথা শেষ করতে না করতেই পালটা আরবাজের ঝাঁজালো প্রশ্ন, “কোন ‘কিসসা’র কথা জানিস তুই? কী কিসসা আছে?” সাংবাদিক সালমানের পরোপকারী স্বভাবের কথা উল্লেখ করলে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যান আরবাজ। পালটা বলেন, “ওকে ছাড়, আমার সিনেমা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকলে কর।” আরবাজের এহেন প্রতিক্রিয়ায় তোলপাড় বলিউড! প্রশ্ন উঠেছে, খান পরিবারে কি তাহলে ভাঙন ধরল?
প্রসঙ্গত, আরবাজের দ্বিতীয় স্ত্রী সুরা খানের সন্তানের সাধের অনুষ্ঠানেও গিয়েছিলেন সালমান। কানাঘুষো, পারিবারিকদ্বন্দ্ব থাকলেও সেটা নাকি প্রকাশ্যে আনতে নারাজ দুই ভাই। তাই উৎসব-অনুষ্ঠানে ‘পিচকার পারফেক্ট’ ফ্রেমে ধরা দেন তাঁরা। সম্প্রতি ‘দাবাং’ পরিচালক অভিনব কাশ্যপ জানিয়েছিলেন, “সালমান একদিন রাত দেড়টায় আমার ঘরে আসেন। এসেই ওঁর চোখে পড়ে ছবিতে আরবাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলি। সেগুলি ছেঁটে ফেলার নির্দেশ দেন তৎক্ষণাৎ। কারণ সালমান শুধু নিজেকেই ছবিতে তুলে ধরতে চাইতেন। দুই ভাই একবার তুমুল ঝগড়াও করেছিলেন আমার সামনে। দুজনের সম্পর্ক একেবারেই ভালো না। একদিন তো সেটে ওদের ঝামেলা থামানো যাচ্ছিল না। আমি থামাতে গেলে বলেছিলেন, তুমি এর মধ্যে জড়িও না। এমনকী ছবিতে আরবাজের কী কী দৃশ্য রয়েছে, সেটা জানার জন্য ছবির এডিটরকেও অপহরণ করেছিলেন সালমান। ওঁদের বোঝা খুব মুশকিল।” এবার কি আরবাজের এহেন আচরণ সেই ভাঙনের গুঞ্জনেই সিলমোহর দিল?
কেএন/টিএ