বাংলাদেশ সীমান্তের কাছাকাছি পশ্চিমবঙ্গে ‘ন্যূনতম সময়ের মধ্যে’ নতুন একটি সামরিক ঘাঁটি চালু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। হায়দরাবাদ থেকে প্রকাশিত ইংরেজি দৈনিক ডেকান ক্রনিকল লিখেছে, ‘চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে’ খুবই কম সময়ের মধ্যে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় এ ঘাঁটি চালু করা হয়েছে। সীমান্তরেখা বরাবর ‘প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে’ আসামের ধুবড়িতেও একটি সামরিক স্টেশন স্থাপনের কাজ চলছে।
উল্লেখ্য, চিকেন নেক করিডর থেকে ধুবড়ির সামরিক স্টেশনের দূরত্ব ২২২ থেকে ২৪০ কিলোমিটার, চোপড়া থেকে ৫২ কিলোমিটার।
আবার বাংলাদেশ সীমান্ত থেকেও এই ঘাঁটিগুলোর গড় দূরত্ব খুব একটা বেশি না।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সীমান্তঘেঁষা চোপড়া ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড এক্স পোস্টে বলেছে, ‘লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি চোপড়ায় মোতায়েন করা সেনাদের ঘাঁটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি সেনা সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ঘাঁটি স্থাপন ও চালুর ক্ষেত্রে তাঁদের অটল উদ্যম, পেশাদারি ও নিরলস প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
‘তিনি তাঁদের সর্বোচ্চমানের কার্যকরী প্রস্তুতি বজায় রাখতে এবং ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে সক্রিয় থাকতে বলেছেন।’
পোস্টে বলা হয়, চোপড়া বিধানসভা এলাকার বিধায়ক হামিদুল রহমান এবং অন্য বেসামরিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল আর সি তিওয়ারি। ‘আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নে সামরিক-বেসামরিক সহযোগিতার গুরুত্ব’ও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। এ ছাড়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল তিওয়ারি আসাম সীমান্তে গজরাজ কর্পসও পরিদর্শন করেন এবং ধুবরির বামুনিগাঁওয়ে লাচিত বরফুকন সামরিক স্টেশনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড বলেছে, ‘অহোম সাম্রাজ্যের কিংবদন্তি সেনাপতি লাচিত বরফুকনের নামে এই নতুন সামরিক স্টেশনের নামকরণ করা হয়েছে, যা সাহস, নেতৃত্ব ও দৃঢ়তার অদম্য চেতনাকে প্রতিফলিত করে, যা নবজাগ্রত আসামের ঐতিহ্যকে তুলে ধরে।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কার্যক্ষমতা ও অবকাঠামোগত শক্তি বৃদ্ধির এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হচ্ছে এ স্টেশন প্রতিষ্ঠা।’ পরিদর্শনকালে পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডার তিওয়ারি সীমান্তের কার্যকরী প্রস্তুতি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন। পাশাপাশি অবকাঠামো উন্নয়নে যেসব প্রকল্প চলছে, সেগুলোর অগ্রগতি তিনি প্রত্যক্ষ করেন।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার পর ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে।
স্বাভাবিক নেই বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত যোগাযোগ।
সূত্র : ডেকান ক্রনিকল
কেএন/টিএ