গত কয়েক বছর ধরে নেইমার আর ইনজুরি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলছে। বর্তমানে তার শৈশবের ক্লাব সান্তোসে খেলছেন, কিন্তু ক্লাবও আছে অবনমনের শঙ্কায়। এদিকে ফিটনেস দিয়ে ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তিকেও সন্তুষ্ট করতে পারছেন না তিনি। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে জাতীয় দলে ডাক পাননি। চতুর্থবার বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেছে। কোচ আনচেলত্তি তাকে দলে জায়গা পাওয়ার টোটকা বলে দিলেন।
এই মাসে দুটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। সেনেগাল ও তিউনিসিয়ার বিপক্ষে সেই ম্যাচের স্কোয়াডেও জায়গা হয়নি নেইমারের।চতুর্থবার আনচেলত্তি তাকে ছাড়া দল ঘোষণা করেছেন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ব্রাজিলের জার্সি পরেননি তিনি। উরুগুয়ের সঙ্গে ম্যাচ খেলতে গিয়ে হাঁটুতে গুরুতর চোট পেয়ে এক বছর ছিলেন মাঠের বাইরে। পরে সান্তোসে চুক্তি করলেও জাতীয় দলের দরজা খুলতে পারেননি।
নেইমারকে ছাড়া দল ঘোষণার ব্যাপারে প্রশ্ন শুনতেই ব্রাজিলের ইতালিয়ান কোচ বললেন, ‘হ্যাঁ, হ্যাঁ (হাসি), নেইমারকে নিয়ে (এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি প্রশ্ন শুনেছি)। কিন্তু এটা স্বাভাবিক, কারণ সে ব্রাজিলিয়ান ফুটবলের লিজেন্ড। তাই এটা স্বাভাবিক। আমি জানি সবাই চায় নেইমার তার সেরা শারীরিক অবস্থায় ফিরুক। সিবিএফ, কোচ, টেকনিক্যাল স্টাফরাও আশা করে নেইমার তার সেরা পর্যায়ে ফিরবে। কিন্তু সত্যিটা হলো আজকালের ফুটবল অনেক কিছু দাবি করে। শুধু প্রতিভা নয়, শারীরিক অবস্থাও, তীব্রতা... আশা করি নেইমার তার সেরা পর্যায়ে থাকবে।’
এরপর তিনি নেইমারকে পরামর্শ দিলেন, ‘আমি মনে করি তার আরও বেশি সেন্ট্রালি খেলা উচিত, উইঙ্গার হিসেবে নয়। কারণ বর্তমান ফুটবলে উইঙ্গাররা এমন খেলোয়াড়, যাদেরকে ডিফেন্সিভ খেলাও খেলতে হয়। যখন আপনি সেন্ট্রালি খেলবেন, তখন সেই কাজটা কমে যাবে। আমিও ভাবি, একজন খুব প্রতিভাবান খেলোয়াড়, যে কি না গোলের কাছে থাকে, সে অনেক বেশি গোলের সুযোগ পায়। (ফলস নাইন) হতে পারে তার জন্য আদর্শ জায়গা।’
এখন দেখার অপেক্ষা, নেইমার ব্রাজিল কোচের এই পরামর্শ আমলে নেন কি না। খুব বেশি সময় নেই। মার্চে রয়েছে প্রীতি ম্যাচ। সেই দলে ডাক পেতে হলে ফিট থেকে সান্তোসের হয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে তাকে।
এমআর/টিকে