বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘নতুন দলের কলি থেকে শুরু করে মহাপুরনো বিশ্বাসঘাতক দলের পুরনো কুচক্রীরা একই হাসিনা-মার্কা সুরে কথা বলছে এবং জোরজবরদস্তি করতে চাইছে।’
শনিবার দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। ইশরাক বলেন, ‘একজন নতুন কাওয়া ওবায়দুল কাওয়ার মতো অনবরত জাতির কৃতি সন্তানদের - এমনকি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদদেরও- মানসম্মান ও মর্যাদার প্রতি কুৎসিত ভাষায় আক্রমণ করছেন; কলি দলের সেই না-ফোটা মস্তিষ্কের’ প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ধারাবাহিকভাবে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছে।’‘
এটাই এই শ্রেণীর মুখে তথাকথিত ‘নয়া বন্দোবস্ত’।
যার অর্থ দাঁড়ায়- আওয়ামী লীগ যেহেতু লুটপাট করেছে, তাই আমরা তার বহুগুণ বেশি লুটপাট করবো। এদের মধ্যে আরেকটি গ্রুপ রয়েছে যারা কেবল মহাজান্তা নয় - বরং বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জাতীয় প্রতারণার নায়ক হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। এরা ঐক্যমত্য কমিশনে উপস্থিত ছিলেন, যাদের সেই যোগ্যতা নেই; এবং নিয়মিত টকশোতে জাতীয় স্বার্থ ও জনআকাঙ্ক্ষার পরিপন্থী বক্তব্য প্রচার করে যাচ্ছেন।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘সবচেয়ে উদ্বেগজনক গ্রুপটি এখনো সরাসরি নির্বাচনের বিরোধিতা করে জনমত তৈরির কাজে লিপ্ত রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে এক আজব পাগল আইনজীবী, যিনি বলেছিলেন- ‘প্রধান উপদেষ্টা সকালে ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যা বলতে শুরু করবেন, সেটাই নাকি সংবিধান।’ ছাঁটাই ক্যাম্পের আরেক ব্যারিস্টার ইতিহাসকে জোড়াতালি দিয়ে উদ্ভট তত্ত্ব জপছেন এবং আজকের ও আগামীর সম্ভাবনাময় তরুণদের পথভ্রষ্ট করে চলেছেন।’’
সবশেষে তিনি বলেন, ‘‘আর ঘি খাওয়ার জন্য রাজনীতিবিদরা আঙুল বাঁকা করেন না- জনগণের ন্যায্য দাবি-দাওয়ার পক্ষে, অন্যায়-অবিচার ও জুলুমের বিপক্ষে, গুম-খুন ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, গণতন্ত্র রক্ষার প্রশ্নে ‘আঙুল বাঁকা করা’-র প্রবাদটি প্রযোজ্য।’’
কেএন/টিকে