দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ও একটি ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে তেমন কিছুই করতে পারেননি হাসান নাওয়াজ। তাই হয়তো, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসছে ওয়ানডে সিরিজ ও এরপরের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল থেকে তাকে বাদ দিয়েছে পাকিস্তান।
২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকে কায়েদ-ই-আজম ট্রফিতে খেলতে পাঠানোর কথা রোববার জানিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড।
সিরিজ দুটির জন্য গত ২৩ অক্টোবর দল দেয় পাকিস্তান। ওয়ানডে দলে নাওয়াজের বদলি হিসেবে কাউকে নেওয়া হয়নি। তবে শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে নিয়ে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের দলে তার জায়গায় ফাখার জামানকে যোগ করা হয়েছে।
গত মার্চে ক্যারিয়ারে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচজয়ী সেঞ্চুরিতে পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসেন নাওয়াজ। অকল্যান্ডে সেই ম্যাচে রান তাড়ায় চার-ছক্কার ঝড়ে ৪৫ বলে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।
সেদিনের পর তাকে ঘিরে প্রত্যাশাও বেড়ে যায় অনেক, যদিও এই সংস্করণে প্রথম ১০ ইনিংসে পাঁচবার শূন্য রানে আউট হন তিনি। পরেও আর সেভাবে আলো ছড়াতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। মোট ২৫টি টি-টোয়েন্টি খেলে আর কেবল দুটি পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংস খেলতে পারেন নাওয়াজ।
গত এপ্রিল-মে মাসে পাকিস্তান সুপার লিগে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন নাওয়াজ। ১৬২ স্ট্রাইক রেটে আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করে কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে তোলেন ফাইনালে। শিরোপা লড়াইয়েও তিনি খেলেন ৪৩ বলে ৭৬ রানের ইনিংস, ম্যাচটি অবশ্য তারা হেরে যায় লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে।
কিন্তু গত দুই মাসের ছন্দহীনতায় ক্রমেই নাওয়াজ দলে অপ্রয়োজনীয় হয়ে উঠতে থাকেন। এশিয়া কাপের পরের দিকে দল থেকে বাদও পড়েন তিনি।
অগাস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটিসহ এ পর্যন্ত চারটি ওয়ানডে খেলেছেন তিনি, রান করেছেন ৫৬ গড়ে।
কিন্তু, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে যেভাবে জর্জ লিন্ডাকে তেড়েফুঁড়ে খেলতে গিয়ে স্টাম্পড হন নাওয়াজ, সেটা ছিল ভীষণ দৃষ্টিকটু। এতে তার ম্যাচ সচেতনতার ঘাটতিই ফুটে ওঠে। সিরিজের পরের দুই ম্যাচে আর সুযোগ পাননি তিনি। টি-টোয়েন্টিতেও সাম্প্রতিক সময়ে একই দশা; গত আট ম্যাচে কেবল একবারই দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন তিনি, গড় ৭।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শুরু ১১ নভেম্বর। ১৭ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ। পাকিস্তানের মাটিতে এবারই প্রথম হবে একাধিক দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট।
পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি স্কোয়াড: সালমান আলি আগা (অধিনায়ক), আব্দুল সামাদ, আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফাখার জামান, মোহাম্মাদ নাওয়াজ, মোহাম্মাদ ওয়াসিম জুনিয়র, সালমান মির্জা, নাসিম শাহ, সাহিবজাদা ফারহান, সাইম আইয়ুব, শাহিন শাহ আফ্রিদি, উসমান খান, উসমান তারিক
পাকিস্তানের ওয়ানডে স্কোয়াড: শাহিন শাহ আফ্রিদি (অধিনায়ক), আবরার আহমেদ, বাবর আজম, ফাহিম আশরাফ, ফায়সাল আকরাম, ফাখার জামান, হারিস রউফ, হাসিবউল্লাহ, হুসাইন তালাত, মোহাম্মাদ নাওয়াজ, মোহাম্মাদ রিজওয়ান, মোহাম্মাদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, সাইম আইয়ুব, সালমান আলি আগা
আইকে/টিএ